‘সিআইডি ব্যবহারের ফল হবে মারাত্মক, জেলে লাইন পড়ে যাবে!’ হুঁশিয়ারি সায়ন্তনের

Sayantan Basu: “সিবিআই (CBI) এর পাল্টা হিসাবে সিআইডি (CID)কে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য। সিবিআই নেমেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিন্তু সিআইডি তো তা নয়। এর ফল হবে মারাত্মক।”

'সিআইডি ব্যবহারের ফল হবে মারাত্মক, জেলে লাইন পড়ে যাবে!' হুঁশিয়ারি সায়ন্তনের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 8:02 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: “সিবিআই (CBI) এর পাল্টা হিসাবে সিআইডি (CID)কে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য। সিবিআই নেমেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিন্তু সিআইডি তো তা নয়। এর ফল হবে মারাত্মক।” এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপি-র সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)।

এদিন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে এক সভা থেকে সায়ন্তন বলেন, “অনেক নেতা (তৃণমূল) এমনকি বেশ কিছু কর্মীও তাদের কর্মফলের জন্য কিছু দিনের মধ্যেই জেলে যাবেন।” উল্লেখ্য, তৎকালীন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। তাঁর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্য মৃত্যুর তদন্তে সোমবার ভবানী ভবনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সিআইডি তলব করেছে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে হুমকির সুর শোনা গেল দাপুটে বিজেপি নেতার গলায়। একই সঙ্গে ভবানীপুর কেন্দ্রেই কেন উপনির্বাচন করা হচ্ছে, তা নিয়েও সরব হন সায়ন্তন। বলেন, একটি কেন্দ্রে কেন উপনির্বাচন? নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “একটি কেন্দ্রে কেন উপনির্বাচন হচ্ছে তা নিয়ে আপত্তি আছে বিজেপি।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে রাজ্য সরকার প্রভাবিত করছে।

ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্ত এই নিয়ে তিনি বলেন, “রিঅ্যাকশন হিসেবে সিআইডি দিয়ে শুভেন্দুকে তলব করা হয়েছে, আর সিবিআই তদন্ত (ভোট পরবর্তী হিংসা) হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে। এবার অনেক তৃণমূলের হার্মাদ গুন্ডা ধরা পড়বে। জেলে লাইন পড়ে যাবে।”

উল্লেখ্য, এদিন সিআইডি তদন্ত প্রসঙ্গে নিজেও মুখ খুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “প্রতিদিন আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। আমি ভয় পাই না। বাবা মা কীভাবে সুস্থ থাকবে সে দিকটাই মাথায় রেখেছি। বাকি আমার কোনও পিছুটান নেই।” তমলুকের পদুমবসানে শিক্ষক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এরূপ মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও বলেন,  “রাজ্য সরকারের মন্ত্রিত্বের লম্বা লিস্ট ছিল আমার কাছে। তারপরেও সব ছেড়েছুড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়ে সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটাচ্ছি। লক্ষ্য একটাই অখণ্ড ভারত। যেটা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারাই সম্ভব। তাই তাঁর হাত ধরেছি।”

এদিকে এদিন বিজেপি বিধায়কদের দলত্যাগ নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে সায়ন্তনের মুখে। পর পর দু’দিনে বিজেপির দুই বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তিনি আর বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যা নিয়ে সায়ন্তনের মন্তব্য, ‘এক দু’জন গিয়েছে। আরও দু’ একজন যাবে, তাতে দলের কোনও অসুবিধা হবে না।’ আরও পড়ুন:  ‘মুকুলবাবু যতদিন আমাদের দলে ছিলেন কেস হয়েছে, এখন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হবে’, সিআইডি তলব প্রসঙ্গে দিলীপ