BJP Agitation: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার নৈহাটিতে, পুলিশের সামনে মহিলাকে বেধড়ক মার
BJP Agitation: নৈহাটিতে ডেঙ্গি নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির, পুলিশের সামনে মহিলাকে বেধড়ক মার তৃণমূল কর্মীদের, আহত বহু।
নৈহাটি ও নদিয়া: ডেঙ্গি (Dengue) নিয়ে নৈহাটি (Naihati) পুরসভার সামনে বিক্ষোভ বিজেপির (BJP)। বিক্ষোভের মধ্যেই বিজেপি সঙ্গে সংঘর্ষ তৃণমূলের (Trinamool Congress)। পরিস্থিতি সামল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ (Police) বাহিনী। নামে ব়্যাফ। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার তরফ থেকে এদিন এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিজেপি কর্মীরা পুরসভায় ডেপুটেশন জমা দিতে গেলে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের কর্মীরা পুরসভার গেট দিয়ে ঢুকতে গেলে তাঁদের উপর হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। লাগাতার স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপির কর্মীরা। পাল্টা স্লোগান শুরু করে তৃণমূল। মূহূর্তেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। হাতাহাতি হয়ে যায় দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সূত্রের খবর, বিজেপির কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসকা শুরু হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। রাতে ৫ জনকে স্থানান্তরীত করা হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির এক কর্মী বলেন, “আজকে আমাদের ডেঙ্গি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। আমরা মিউনিসিপালিটির সামনে যেতেই দেখি কমপক্ষে ৫০০ লোকের একটা জমায়েত রয়েছে সেখানে। সবাই তৃণমূলের লোক। অশোক চট্টোপাধ্যায় এখানকার চেয়ারম্যান ও ওনার ছেলের নেতৃত্বেই ওখানে ওই জমায়েত হয়েছিল। আমরা ডেপুটেশন দিতে গেলে ওরা আমাদের উপর হামলা করে। নৈহাটি হাসাপাতালে ১৮ জন ভর্তি। ৭-৮ জনের অবস্থা গুরুতর।”
এদিন বিজেপির এক মহিলাকে কর্মীকে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ক্যামেরার সামনে চলে মারধর। পুলিশ থাকলেও তাঁদের বাধা উপেক্ষা করে রাস্তাতেই বেধড়ক মারধর করা হয় জিনিয়া চক্রবর্তী নামে বিজেপি কর্মীকে। তাঁর বুকে, পেটে গুরুতর আঘাত লাগে। ঘটনা প্রসঙ্গে জিনিয়া দেবী বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল। ডেঙ্গিতে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক মারা যাচ্ছে। চিকিৎসা নেই, ডাক্তার নেই। পুলিশ এখানে দলদাস। পুলিশের সামনেই আজ আমাকে নির্মমভাবে মারা হয়। পুরুষ, মহিলা সকলে মিলে মারধর করে। আমার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমার হাটুতে সেলাই পড়েছে। হাতে লেগেছে। আমাকে কল্যাণী জেএনএম হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।” আহতদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে আসেন সেচ মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। যদিও তাঁর দাবি, তিনি বিধানসভায় ছিলেন। আসল ঘটনা কী হয়েছে তিনি জানেন না। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবেন।