রড-লাঠি দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত, মৃত্যু বিজেপি কর্মীর!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Sep 05, 2021 | 2:13 PM

TMC BJP Clash: মৃত বিজেপি (BJP) নেতার স্ত্রী শিবানী সরকারের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে।

রড-লাঠি দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত, মৃত্যু বিজেপি কর্মীর!
মৃত অরুণ সরকারের স্ত্রী শিবানী সরকার, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: শাসক শিবিরের হাতে খুনের অভিযোগে প্রশাসনের দ্বারস্থ গেরুয়া শিবির। অরুণকুমার সরকার ওরফে সুজয় নামে এক বিজেপি (BJP) কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। মারধরের জন্যই মারা গিয়েছেন ওই দলীয় কর্মী এমনই অভিযোগ তুলে সরব পদ্ম। গোপালনগর থানা এলাকার নহাটায় ৮৭ নম্বর পাড়ার ঘটনা।

গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, গত ৩১ অগস্ট চৌবেড়িয়ার ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল (TMC) সদস্যরা একটি অনাস্থা পেশ করেন। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে আস্থা ভোটের দিনে পঞ্চায়তে বেশি ভিড় যাতে না হয় তার জন্য মাত্র ৫০ জন কর্মীকে নিয়ে  পঞ্চায়েতে যান বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ, বিরোধীরা কোভিড বিধি মানলেও সেই বিধি মানেনি শাসক শিবির। অভিযোগ, ওইদিন শাসক শিবিরের তরফে নিদেনপক্ষে প্রায় হাজার জন কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। তারপরে আচমকাই বিধায়ককে ঘিরে ধরে কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন  দিঘাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অরুণ সরকার। অরুণ বাধা দিতে এলে তাঁর উপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। লাঠি-রড দিয়ে মাথার পেছনে মারা হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই বিজেপি নেতা। চিকিত্‍সার জন্য তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই অরুণের মৃত্যু হয়।

মৃত বিজেপি (BJP) নেতার স্ত্রী শিবানী সরকারের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। শিবানী বলেন, “এলাকা দখল করতে চেয়েছিল তৃণমূল। অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছিল। পারেনি। আমার স্বামী তা হতে দেননি। সেইজন্য ওরা আমার স্বামীকে খুন করল।তৃণমূলের গুন্ডারা আমার স্বামীর মাথায় পেছন থেকে রড দিয়ে মারে। মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তারপর শুক্রবার সব শেষ। ওই তৃণমূলের গুন্ডাদের  যথাযোগ্য় শাস্তি চাই।”

গোপালনগরের এক বিজেপি কর্মী মৃণাল বিশ্বাসের অভিযোগ, তাঁকেও আক্রমণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। বিজেপি নেতা অরুণ সরকারকে আমকাঠ দিয়ে মারধর করা হয়। ঘটনায় বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, ”গত ৩১ অগস্ট চৌবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্যরা একটি অনাস্থা পেশ করেন। তারপর, আস্থা ভোটের দিন কোভিড বিধি উলঙ্ঘনকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। তারপর আচমকাই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের গাড়ি ঘিরে ধরে। সেইসময়, অরুণও সেখানে ছিল। ও বাধা দিতে গেলে ওকে মারধর করা হয়। লাঠি-রড দিয়ে মাথার পেছনে মারা হয়।”

পাল্টা, গোপালনগর দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিশীথ বালা জানান, যেকোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। রাজনীতি করতে এসে কারোর মৃত্য়ু হোক এমনটা চায় না তৃণমূল। ময়নাতদন্ত হলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে, বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। আইন আইনের পথেই চলবে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা প্রতিনিধিরা যখন ব্লক জ়োনে ক্যাম্প করে তদন্ত করছেন তখন, শাসক শিবিরের হাতে খুন হওয়ার অভিযোগে সরব বিজেপি। উল্লেখ্য, রাজ্য়ে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) সুপারিশকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। কিন্তু, সেই মামলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। নির্বাচনের পর রাজ্যে খুন ও ধর্ষণের মামলাগুলি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে হাইকোর্ট। ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে ইতিমধ্য়েই দুদিনে দুটি চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: টিকা নিয়ে রক্তারক্তি, বঙ্গ জুড়ে অনিয়ম, গাফিলতি কোথায়?

 

 

 

 

Next Article