উত্তর ২৪ পরগনা: ফের শাসন থেকে বোমা উদ্ধার। বুধবার রাতে শাসনের সহরা গ্রামে একটি পুকুর পাড় থেকে দশটি তাজা বোমা উদ্ধার করে শাসন থানার পুলিশ। সেই বোমাগুলিকে রাতে ফাঁকা জায়গায় রেখে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সিআইডি বম স্কোয়াড বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে। কয়েকদিন আগেও শাসনে রাতভর বোমাবাজি হয়। তারপরের দিন পুলিশ প্রায় ২৫টা বোমা উদ্ধার করেছিল। কিন্তু এত বোমা কোথা থেকে আসছে? কারা আনিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রাজ্য জুড়ে চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। সেই কারণে পুলিশের সব শীর্ষ কর্তাদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে আগামী ১০ দিনের জন্য। রাজ্যে কোথায় কোথায় বোমা বা বেআইনি অস্ত্র রাখা আছে, সেই তল্লাশি চালানো হবে। যে সব থানায় এই সব অভিযোগ বেশি আসে, সেই থানাগুলির আইসিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে হবে পুলিশ কর্তাদের। সেই রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজই বৈষ্ণবনগরের জৈনপুরে একটি মাঠ থেকে বোমা উদ্ধার হয়। চাষের কাজে যাওয়ার সময় বোমাগুলি নজরে আসে কয়েকজন গ্রামবাসীর। তাঁরাই পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। যায় বম্ব স্কোয়াড ও দমকল বাহিনীও। বোমাগুলি নিস্ক্রিয় করা হয়। কে বা কারা বোমাগুলি রেখে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রাজ্যের অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে বিঁধেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, “ভাঙড়ের সময়ে বলেছিলেন না, ওরা হচ্ছে আমাদের দলের সম্পদ। যে সকাল পর্যন্ত দলের সম্পদ ছিল, সে আপদ হল কী করে? বাংলায় কীভাবে এত অস্ত্র আসছে? তৃণমূল নেতা খুন হলেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। ”