একটা নয়,দুটো নয়, তৃণমূল কাউন্সিলরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫০ টি কৌটো বোমা!

Post Poll Violence: বোমা উদ্ধারের পরেই আর দেখা মেলেনি কাউন্সিলর কালাম উদ্দিন আনসারী বা তাঁর ছেলে চন্দন আনসারী। অভিযুক্তদের খোঁজ করছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। 

একটা নয়,দুটো নয়, তৃণমূল কাউন্সিলরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫০ টি কৌটো বোমা!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 27, 2021 | 8:25 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট মিটলেও মিটছে না সন্ত্রাস। তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মদন মিত্রের কেন্দ্রেই তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ফ্ল্যাট  থেকে উদ্ধার হল ৫০ টি কৌটো বোমা। শনিবার গভীর রাতে,  গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ও বেলঘড়িয়া থানার যৌথ উদ্যোগে কামারহাটি আনোয়ার বাগানে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কালাম উদ্দিন আনসারীর ছেলের ফ্ল্য়াট থেকে কৌটো বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজু মাস্টারের কথায়, “আমার এক বন্ধু এসে খবর দিল তাদের ফ্ল্য়াটে নাকি বোমা পাওয়া গিয়েছে। শুনলাম, বোমাগুলো নাকি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে পাওয়া গিয়েছে। ওই বোমা যদি কোনওভাবে বিস্ফোরণ হত, তাহলে তো গোটা বিল্ডিংটাই উড়ে যেত। সম্প্রতি, এই এলাকায় অনেক নতুন লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে। আমরা পড়াশোনা করি। নিজেদের মতো থাকি। ছোট বাচ্চাদের হাতে পেনের বদলে বন্দুক তুলে দেওয়া হচ্ছে। কোনদিন হয়ত, আমাদের বাড়িটাও উড়ে যাবে।”

তসলিম হায়দার নামে অন্য এক এলাকাবাসীর কথায়, “তিনমাস ধরে ওই ফ্ল্যাট বন্ধ ছিল। কে আসত, কে যেত কেউ জানে না। এখানে বোমা বাঁধা, বোমা বিস্ফোরণ নতুন ঘটনা নয়। ওই ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ টা বোমা উদ্ধার হয়েছে। দুটো থলি আর বালতিতে ছিল বোমাগুলো। আমরা আতঙ্কিত।”

বোমা উদ্ধারের পরেই আর দেখা মেলেনি কাউন্সিলর কালাম উদ্দিন আনসারীর ছেলে চন্দন আনসারীর। অভিযুক্তের খোঁজ করছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বাবা কালাম আনসারী বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমার বাড়িতে গত কয়েকমাসে পাঁচ ছয়বার বোমা পড়েছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। আমার ছেলে কোনওভাবেই এতে যুক্ত নয়। ওই ফ্ল্যাটের একটা ঘর আমার ছেলের ছিল। সেই ঘর দুবছর আগে অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওখানে চন্দন বহুদিন থাকে না। আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। আমি দলকে বিষয়টা জানিয়েছি।”

শাসক শিবিরের অন্দরের খবর, কাউন্সিলর কালাম উদ্দিন আনসারী  বিধায়ক মদন মিত্রের ‘বেশ কাছের লোক’। এ বিষয়ে বিধায়ক বলেন, “ভোটের সময় থেকেই বিজেপি বুঝে গিয়েছে তৃণমূলের জমি শক্ত। সেই জন্যেই তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। চন্দন ওই ফ্ল্যাটের থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে থাকে। আর জুলফিকর আলি নামে এক ব্যক্তির নামে ওই বাড়ি রয়েছে। পুলিশকে বলব, নিরপেক্ষ তদন্ত করুন। চন্দন দোষী হলে সেও শাস্তি পাবে।”

ঘটনায়, বিরোধী বাম নেতা সায়নদীপ মিত্র (Sayandeep Mitra) বলেছেন, “জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধার একটা ভয়াবহ ঘটনা। তাঁদের সঙ্গে কেবল দেবাঞ্জন দেবের সম্পর্ক থাকে এমন নয়, কৌটো বোমারও সম্পর্ক থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, তৃণমূল কতটা ভয়াবহ।”

আরও পড়ুন: ‘সিট গঠন করাটা আইওয়াশ, কেন কেঁচো খুড়তে সাপ বের করছেন!’, ফিরহাদকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর