AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bongaon: ‘বাবা বারবার ওদিকে গিয়েছিল, ফিরত পাঠিয়ে দেয়’, নাতিকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করে দিদিমা হাসপাতালের শৌচালয়ের কোণে যা করছিলেন… শিহরণ জাগল সকলের শরীরে

Bongaon: উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের প্রবেশ দ্বারের পাশে থাকা বনগাঁ পৌরসভা পরিচালিত শৌচালয় মধ্যে থেকে বুধবার সকালে চপলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।  চপলা বাগদা থানার নাটাবেড়িয়ার বাসিন্দা ।

Bongaon: 'বাবা বারবার ওদিকে গিয়েছিল, ফিরত পাঠিয়ে দেয়', নাতিকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করে দিদিমা হাসপাতালের শৌচালয়ের কোণে যা করছিলেন... শিহরণ জাগল সকলের শরীরে
বনগাঁ হাসপাতালের শৌচালয়ে মহিলার দেহ উদ্ধারImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2025 | 2:16 PM
Share

বনগাঁ: নাতির বমি হচ্ছিল। হাসপাতালে নাতিকে ভর্তি করেছিলেন দিদিমা। পরিবারের এক সদস্যকে ছোট শিশুর সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে হয়, তাই হাসপাতালে নাতির  সঙ্গে থেকে গিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তির পরও নাতির বমি কমছিল না। ওয়ার্ডে বেডের নীচে একটা গামলা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন আয়ারা। তাই গামলা কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না দিদিমার। হাসপাতাল চত্বরের সর্বত্র খোঁজ করা হয়, কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি। বারবার হাসপাতালের বাথরুমের দিকেও খোঁজ করা হয়। কিন্তু হাসপাতালের সাফাইকর্মীরা বলেছিলেন, বাথরুম ফাঁকাই রয়েছে। কিন্তু বুধবার সকালে সেই বাথরুম থেকেই প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁ হাসপাতালে।  কীভাবে মৃত্যু, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চপলা হাজরা (৪২)।

হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের প্রবেশ দ্বারের পাশে থাকা বনগাঁ পৌরসভা পরিচালিত শৌচালয় মধ্যে থেকে বুধবার সকালে চপলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।  চপলা বাগদা থানার নাটাবেড়িয়ার বাসিন্দা । মঙ্গলবার রাতে চপলা তাঁর মেয়ের ছেলেকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করেন । নাতির জন্যে গামলা কিনতে গিয়ে আর ফেরত আসেনি।

পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি । সকালে শৌচালয় মধ্যে থেকে তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ।

মৃতার মেয়ে বলেন, “মাকে যখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, বাবা অনেকবার বাথরুমের আশপাশে খোঁজ করতে গিয়েছিল। কিন্তু বারবার ওরা বলছিল, এখানে এরকম কেউ আসেনি। ওখান থেকে বারবার ফিরিয়ে দিয়েছে। যদি তখনই দেখতে পেতাম, তাড়াতাড়ি কিছু করা যেত। ”