বসিরহাট: দীর্ঘ কয়েকমাস পর চোদ্দো দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন বিএসএফ জওয়ান। তবে এখানে এসেও মিলল না স্বস্তি। মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহ করার অভিযোগে এখন শ্রীঘরে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই জওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল এলাকার এক মহিলার। ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসার পরই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি সহবাস ও ধর্ষণ করতে থাকেন তিনি। গোটা বিষয়টি নির্যাতিতা মহিলা বুঝতে পেরে থানায় গিয়ে নালিশ করেন। তারপরই পদক্ষেপ করে পুলিশ।
বসিরহাটের হাসনাবাদ থানা এলাকার ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরেই বিএসএফে কর্মরত ছিলেন বছর বত্রিশ এর গোপাল দাস নামে এক জওয়ান। বর্তমানে তিনি ওড়িশায় কর্মরত। এখানে থাকাকালীন বছর তিরিশের এক মহিলার সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর কাজের কারণে দীর্ঘদিন বাইরে থাকেন তিনি। এখন যখন ছুটি কাটাতে বাড়িতে আসেন সেই সময় ওই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, গোপন মুহুর্তের ছবি তুলে ওই মহিলাকে বারংবার ব্ল্যাকমেল করেন বলেও জানা গিয়েছে।
এরপরই আর অত্যাচার সহ্য না করে মহিলা সোজা থানায় গিয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত জওয়ানকে গ্রেফতার করে। পরে তাঁকে তোলা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। নির্যাতিতা মহিলা বসিরহাট মহকুমা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন। পাশাপাশি ওই বিএসএফ জওয়ানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। হাসনাবাদ থানার পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
নির্যাতিতা মহিলার আইনজীবী বলেন, “অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন ধরেই ওই ব্য়ক্তি মহিলাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। সঙ্গে অশ্লীল কয়েকটি ছবি দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেলও করা হত। নির্যতিতা মহিলা থানায় গিয়ে নালিশ করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: Nadia: গা পাকিয়ে উঠছে বমি, সঙ্গে পেট ব্যথা, রান্না করা মাংসের দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠল গোটা পরিবার