Child Death: ‘ছেলেটার মুখও দেখতে পারলাম না…’ ২৪ ঘণ্টা না পেরতেই হাসপাতালেই মৃত্যু সদ্যোজাতর!
Basirhat: পরিবারের অভিযোগ, শিশু জন্মালেও হাসপাতালের তরফ থেকে নবজাতকের মুখটাও দেখতে দেওয়া হয়নি। পাল্টা বলা হয়, সন্তান সুস্থ রয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা: জন্মেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল সদ্যোজাত। নবজাতকের (New Born) মৃত্যুকে ঘিরে চিকিত্সার গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। জেলা হাসপাতালে চলল ভাঙচুর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বসিরহাট জেলা হাসপাতালের (Government Hospital)।
আকবর আলি মণ্ডলের অভিযোগ, হাড়োয়া থানার পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। আকবরের দাদা রেউাউল মণ্ডলের স্ত্রী রেশমা বিবি রবিবার প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার রাতে তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের অভিযোগ, শিশু জন্মালেও হাসপাতালের তরফ থেকে নবজাতকের মুখটাও দেখতে দেওয়া হয়নি। পাল্টা বলা হয়, সন্তান সুস্থ রয়েছে। কোনও বিপদের সম্ভাবনা নেই। সোমবার গোটা রাত কাবার হলে মঙ্গলবার সকালে আচমকা হাসপাতালের চিকিত্সক এসে খবর দেন রেশমা বিবির সন্তান মারা গিয়েছে। কিন্তু কেন মারা গেল, কী হয়েছিল তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউ। বারবার হাসপাতালে জিজ্ঞেস করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি।
আকবরের কথায়, “রবিবার বৌদিকে আমরা হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। সোমবার বাচ্চাটা হয়। হাসপাতাল থেকে বলা হয়, ছেলে হয়েছে। বাচ্চা আর মা দুজনেই সুস্থ। সোমবার রাত থেকে আমরা হাসপাতালে বসে রয়েছি। বলছি বাচ্চাটাকে দেখতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু দেখতে দেয়নি। বারবার বলার পরেও দেখতে দেয়নি। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের এক মাসীকে বলি, বাচ্চাটাকে দেখতে চাই। তখন সেই মাসী আমার থেকে টাকা চায়। কুড়ি টাকা দিই। টাকা নিয়ে সেই যে মাসী গেল আর দেখিনি। এদিকে, ডাক্তার এসে জানায় বাচ্চাটা নাকি মারা গিয়েছে। আমরা তো আকাশ থেকে পড়েছি। গতকাল রাত থেকে দাদা এখানে ঠায় বসে রয়েছে। বলে বলেও ছেলেটার মুখও দেখতে দেয়নি। কেন মারা গিয়েছে, কী হয়েছে কিছুই বলছে না হাসপাতাল। চিকিত্সায় গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আর কী হবে! ছেলেটার মুখও দেখতে পারলাম না, চলে গেল!”
এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে মৃত নবজাতকের পরিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন হাসপাতাল চত্বরে। এমনকী, ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু, পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান আকবর মণ্ডলরা। তাঁদের দাবি যেমন করেই হোক হাসপাতালকে মৃত্যুর কারণের জবাব দিতে হবে। যদিও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনা বসিরহাট থানার পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
আরও পড়ুন: Belur Math: সুখবর! পুজোর পরেই খুলতে চলেছে বেলুড় মঠ, কবে কখন জেনে নিন…
আরও পড়ুন: Raniganj: ২০ দিন ধরে পেটে যাচ্ছে পুকুরের জল, উপপ্রধানকে কাছে পেয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের!