গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, বোমাবাজি বাদুড়িয়ায়,আহত ১০
বসিরহাট-বনগাঁ গৌড়বঙ্গ রাস্তার পাশে কীর্তিপুর এলাকার একটি ভাঙা কাঁচের বোতলের গোডাউনের সামনে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে এই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। একটি চার চাকা গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করেই অশান্তি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানে জামির হোসেনের ছেলে।
বসিরহাট: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্ধে উত্তাল হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া বাগজোলা গ্রামে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজি এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী। মার খান পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেও। এই সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনার জেরে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান জামির হোসেন।
বসিরহাট-বনগাঁ গৌড়বঙ্গ রাস্তার পাশে কীর্তিপুর এলাকার একটি ভাঙা কাঁচের বোতলের গোডাউনের সামনে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে এই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। একটি চার চাকা গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করেই অশান্তি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানে জামির হোসেনের ছেলে। সেই সময় অন্য এক পঞ্চায়েত সদস্য তরিকুল ইসলামের অনুগামীরা তাঁর উপর হামলা চালিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে চরম সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারিকুলের অনুগামীরা পঞ্চায়েত প্রধান জামির হোসেনের বাড়িতে বোমাবাজিও করে। দুই পক্ষই লোহার রড লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয় একে অপরের উপর। এই ঘটনার জেরে দুই পক্ষের ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। তবে এই সংঘর্ষে জড়িত কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়ি থেকে পালান তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান জামির হোসেনও।
এ ব্যাপারে জামির হোসেনের স্ত্রী আকলিমা বিবি বলেন, আজ সকাল ১১টার পর প্রায় ৭০০-৮০০ লোক বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে হঠাৎই ভাঙচুর চালায়। আমার বর বাড়িতে ছিল না আমি দুই ছেলে নিয়ে বাড়িতে ছিলাম। শুনেছি আমার স্বামীকেও ওরা মেরেছে। কিন্তু তিনি এখনও বাড়িতে ফেরেননি। এ ব্যাপারে স্থানীয় বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেছেন বাদুড়িয়াতে যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে এসেছে তা আসলে তূণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। এই অন্তর্দ্বন্দ্ব কতটা প্রকট তা সারা রাজ্যবাসী দেখছে যে ভাইপো গোষ্ঠীর সঙ্গে পিসি গোষ্ঠীর লড়াই লেগেছে। মাঝখান থেকে সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। পুলিশের কাছে অনুরোধ করব তারা যেন অবিলম্বে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে সচেষ্ট হোন এবং সাধারণ মানুষের শান্তি ফিরিয়ে দিন।