উত্তর ২৪ পরগনা: সামনে পুরভোট। তার আগে প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রতিটি দলই শুরু করে দিয়েছে জোর প্রস্তুতি। এদিন, একটি সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএম দাবি করে, গত পৌরভোটে রিগিং করে জিতেছে তৃণমূল। আর এই বক্তব্যের জেরে রীতিমত জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আজকের সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমএর অভিযোগ, শুধু ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নয় বনগাঁ পৌরসভার বাইশটি ওয়ার্ডেই গত পুরভোটে শাসকদল রিগিং করেছিল। সিপিআই(এম) নেতা সুমিত কর বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার ধারন করেছে যে নিজের দলের লোকজনই একে অন্যের উপর দোষারোপ করা শুরু করেছে। কিন্তু সেখান থেকেই কয়েকটি কথা বেরিয়ে আসে। ২০১৫ সালের আগে পর্যন্ত আমাদের দশটি কাউন্সিলর ছিল। বনগাঁর নয়টি ওয়ার্ডে রিগিং হয়। এর মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে এক ঘণ্টার মধ্যেই ভোট পর্ব শেষ হয়ে যায়। এমন রিগিং হয়েছে যে তৃণমূলের সমর্থকরাও ভোট দিতে পারেনি। আমেদর পোলিং এজেন্টে বের করে দিয়ে ভোট হয়। ১৭ নম্বরে কার্যত কোনও ভোট হয়নি।” অন্যদিকে, বিজেপির বক্তব্য বাইশটি ওয়ার্ডে তারা প্রার্থী দিয়েছিলেন কিন্তু কোনও ওয়ার্ডে সঠিকভাবে ভোট করা হয়নি ।
এদিকে, বনগাঁর রাজনীতি নিয়ে বিরোধীরা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছে। এমনটাই জানালেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শংকর দত্ত ।
প্রসঙ্গত, গত ২১ শে নভেম্বর বনগাঁর একটি রাজনৈতিক সভায় প্রাক্তন প্রশাসক শংকর আঢ্যর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ২০১৫ পুরনির্বাচনের ভোট নিয়ে বিস্ফোরক সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে তিনি স্পষ্ট বলেন, তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরামর্শে তিনি ভোট পরিচালনা করেছিলেন । আর এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই দলের মধ্যে প্রকাশ্যে চলে আসে গোষ্ঠী কোন্দল । পুর নির্বাচনের আগে ভোট পরিচালনা করার এই তথ্যকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বিরোধীরা ।
গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে ২১টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল শাসক দল । যখন পুর বোর্ড নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া শাসকদল তখনই ভোটের কারচুপি তত্ত্বে তাদেরকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছেন বিরোধীরা এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: Girl committed Suicide: ‘এত মোবাইল নিয়ে কী করিস?’ মায়ের বকা খেতেই আত্মঘাতী ছাত্রী