AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Girl committed Suicide: ‘এত মোবাইল নিয়ে কী করিস?’ মায়ের বকা খেতেই আত্মঘাতী ছাত্রী

Sabang: আর্থিক অবস্থা অতটাও সচ্ছ্বল নয় তাঁদের।

Girl committed Suicide: 'এত মোবাইল নিয়ে কী করিস?' মায়ের বকা খেতেই আত্মঘাতী ছাত্রী
এই গ্রামেই থাকত নাবালিকা
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 1:17 PM
Share

পশ্চিম মেদিনীপুর: কিশোর- কিশোরী হোক বা নাবালক, প্রত্যেকের হাতেই এখন মোবাইল। মুঠো ফোনে এক অন্য জগৎ খুঁজে নিয়েছে তারা। বিশেষত কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনের বেড়াজাল যখন বাইরে খেলাধূলার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন নেট দুনিয়াই ভরসা। আর ইন্টারনেটের দুনিয়ায় পরতে পরতে বিনোদনের হাতছানি। সেই আকর্ষণ থেকে বেরিয়ে আসা বেশ কঠিন। এমনকি সেই নেশার কাছে তুচ্ছ হয়ে পড়েছে জীবন। সামান্য বকা খেলেই আত্মহত্যা। আরও একবার নাবালিকার মৃত্যুর খবর। মায়ের বকা খেয়ে অভিমান হওয়ায় আত্মঘাতী হয় সে।

ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ১১ নম্বর মোহাড় অঞ্চলের কোনমোহাড় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই নাবালিকার নাম তনুশ্রী খালুয়া (১৫)। শ্যাম সুন্দর স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়িতে রয়েছে বাবা,মা ও দুই বোন। আর্থিক অবস্থা অতটাও সচ্ছ্বল নয় তাঁদের। তিনমাস আগেই বড়ো বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। নাবালিকার বাবা-মায়ের খাটুনির উপর সংসার নির্ভর চলে। জানা গিয়েছে, তনুশ্রীয় মোবাইলের নেশা ছিল। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে একটানা মোবাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে তাকে তনুশ্রী। এরপরই বকুনি দেয় মা। কাজ বাদ দিয়ে মোবাইল ব্যবহার করায় যথেষ্ঠ বকা খেতে হয় তাঁকে।

পরে সন্ধের সময় তাঁর মা রান্না ঘরে চলে যায়। সেই সুযোগে নিজ বাড়ির ভিতরে সিলিং ফ্যানে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগায় ওই নাবালিকা। মা রান্না ঘরথেকে বার বার ডাকলেও কিন্তু কোনও সাড়া না মেলায় খোঁজ  পড়ে তাঁর। এরপর বাড়ির ভেতর গিয়ে দেখেন মেয়ে গামছা নিয়ে ঝুলছে। মায়ের চিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সবং থানার পুলিশের এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে কলকাতার পর্ণশ্রী এলাকায় ঠিক একই ঘটনা ঘটে। আত্মঘাতী কিশোরীর নাম দীপ্তি পাইক, বয়স ১৭। পর্ণশ্রী সারদা বিদ্যাপীঠ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী গলায় গামছা জড়িয়ে সিলিং ফ্যানের ঝুলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে মোবাইলের নেশা। তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিন অনেক রাত পর্যন্ত সে মোবাইল দেখত। এটা নিয়েই তার বাবা মা তাকে প্রত্যেক দিন বকাবকি করত। এরপর দুপুর তিনটের সময় তার মা যখন বাড়িতে ফেরেন তখন তিনি মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তারপর চিৎকার-চেঁচামেচি করলে প্রতিবেশীরা এসে দীপ্তিকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন: BSF: বিএসএফের মেডিকেল ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা! কী বলছেন সাধারণ মানুষ?