নৈহাটি: নাহ এবারও হল না। বামেদের পরাজয় ঠেকানো গেল এইবারও। জোট সঙ্গী আইএসএফ সামান্য মুখ রক্ষা করলেও যে লিবারেশনের উপর আস্থা রেখে বৈতরণী পার করবে ভেবেছিল সিপিএম, তা হল না। নকশাল-সিপিএমের জোটে সাড়া দিল না জনতা। আরজি-কর-কাণ্ডের আবহে যখন উত্তাল গোটা রাজ্য। পথে আম-জনতা। বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আন্দোলন বাম-অতিবামেরা পরিচালিত করছে বলে যখন দাগিয়ে দিতে ব্যস্ত রাজ্যের শাসকদল। সেই আবহে নৈহাটির আসনটি নিতান্তই গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাজনৈতিক মহলের কাছে।
উপভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই বামেদের প্রার্থী তালিকা নজরে ছিল। কারণ, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি হবে না সেই নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ছিল। পরে দেখা গেল একাই লড়ছে কংগ্রেস। তবে সিপিএম কাছে টেনে নিয়েছে লিবারেশনকে। নৈহাটি থেকে প্রার্থী করা হয় দেবজ্যোতি মজুমদারকে। অতীত ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে, রাজ্যের প্রাক্তন দাপুটে মন্ত্রী রঞ্জিত কুন্ডু নৈহাটি থেকে পরপর তিনবার বিধায়ক হিসাবে জিতে এসেছেন। এবার সেই আসন গিয়েছিল লিবারেশনের হাতে। ফলত, নজর ছিল এই আসনের দিকে। প্রশ্ন উঠছিল হারনো ঘাঁটি আবার পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হবে সিপিএম? কিন্তু নাহ হল না।
ভোট ময়দানে ‘মুখ থুবড়ে’ পড়লেন সিপিআইএমএল প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে যেখানে পেয়েছে ৭৮৭৭২ ভোট, বিজেপির প্রাপ্ত আসন ২৯৪৯৫, সেখানে দেবজ্যোতি পেয়েছেন ৭হাজার ৫৯৩ ভোট। এতে বোঝাই যাচ্ছে, নকশাল ও সিপিএম-এর কাছাকাছি আসা পছন্দ করেননি আমজনতা।