বসিরহাট: নয়-নয় করে কেটে গিয়েছে প্রায় সাতটা দিন। তবুও বাড়ির ছেলে বাড়ি ফেরেনি।চিন্তায় কেটেছে রাত-দিন।পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজন। প্রত্যেকের কাছেই পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু মেলেনি। পরে করতে হয়েছে থানা-পুলিশ। শেষমেশ মিলেছে ছেলের দেহ। তবে প্রাণহীন অবস্থায়।
বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার নয়াবস্তিয়া-মিলনী গ্রাম পঞ্চায়েতের মেদিয়া গ্রামের ঘটনা। সেখানেই চলতি মাসের ১১ তারিখ নিখোঁজ হন বছর পঁয়তাল্লিশের মিণ্টু বিশ্বাস ওরফে প্যাণ্ডেল।এবার বাড়ির ছেলেকে বাড়িতে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাদুড়িয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পাশাপাশি নিখোঁজ আত্মীয়র কাছে খোঁজাখুঁজি করলেও তার খোঁজ পাওয়া যায় না।
এরপর বৃহস্পতিবার ভোররাতে আমবাগান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তখন তাঁরা খবর দেয় পুলিশে। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পাঠান। তখনই জানতে পারা যায় ওই ব্যক্তি আসলে মিণ্টু। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু কেনই বা সে নিখোঁজ হল! আদৌ কেউ কি তাঁকে খুন করেছে? নাকি সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এক এলাকাবাসী বলেন, “দীর্ঘ প্রায় অনেকদিন ধরেই ছেলেটি নিখোঁজ ছিলেন।বাড়িতে কোনও ঝামেলাই ছিল না। সব ঠিকঠাকই ছিল বলে জানতাম।সকাল নাগাদ বেরিয়ে মাঠে বসেছিল। তারপর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি।শেষমেশ বাধ্য হয়ে পুলিশে খবর দিই। পরে শুনি একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। শনাক্ত করে জানতে পারি যে সেটি ব্যক্তির”
আরও পড়ুন: Terror link in Howrah: আমিরুদ্দিনের মোবাইলের ১২ জিবি জুড়ে জিহাদি বই, বিস্ফোরক তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে