BSF in Cooch Behar: বারণ সত্ত্বেও কথা কানে তোলেনি, সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যু এক বাংলাদেশির
Coochbehar: ভারতীয় সীমান্তের ভিতরেই বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাথাভাঙা ১নং ব্লকের গোপালপুর গ্রামে একটি পাচারের ঘটনা ঘটছিল।
কোচবিহার: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর লাগাতার গুলি। গুলিতে মৃত্যু এক পাচারকারীর। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরও একজন। তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
ভারতীয় সীমান্তের ভিতরেই বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাথাভাঙা ১নং ব্লকের গোপালপুর গ্রামে একটি পাচারের ঘটনা ঘটছিল। সেই সময় বিষয়টি নজরে আসে বিএসএফ-এর। তারা প্রথমে সতর্ক করে ওই পাচারকারীকে। কিন্তু সেই কথা কানে তোলেনি অভিযুক্তরা। নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে তারা। তখনই বিএসএফ গুলি চালায় বলে খবর।
তবে বিএসএফ-এর তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক পাচারকারীর। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও একজন। তাকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার। বর্তমানে, ওই হাসপাতালের কড়া প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ। সংবাদ মাধ্যমের সামনে পুলিশ বা বিএসএফের কোনও আধিকারিক মুখ খোলেননি।
তবে হাসপাতাল সূত্রে যেটুকু জানা গিয়েছে, জখম ব্যক্তির নাম জুম্মান বসু। বয়স তিরিশের কাছাকাছি। জুম্মান বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে উত্তর দিনাজপুরে বিএসএফ জওয়ান প্রাণ বাঁচায় এক বাংলাদেশি এক নাবালিকার। জানা গিয়েছে, প্রেমের টানে কাঁটাতার পেরিয়ে এদেশে প্রবেশ করে সে। তবে বিষয়টি চোখ এড়ায়নি বিএসএফ-এর। পুলিশি জেরায় উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নাবালিকা জানিয়েছিল, সে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেই সীমান্ত পেরিয়েছে। কিন্তু দুঁদে বিএসএফ কর্তারা বুঝে গিয়েছিলেন আসল কারণ কী? এর পিছনে রয়েছে এক গহীন রহস্য। আসলে মেয়েটি এক বড় বিপদের সম্মুখীন। বাংলাদেশ পুলিশের হাতে আটক উত্তর দিনাজপুরের নাবালিকা। বিজিবি বিএসএফের উপস্থিতিতে সীমান্তে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় নাবালিকাকে। এর পিছনে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হাত রয়েছে বলে মনে করে তদন্তাকারীরা।