Demand Of School Reopening: ‘আমাদের লাথি মেরে কী হবে, পুলিশকেও বুঝতে হবে তাদের সন্তানরাও সাফার করছে…’, এসএফআই-এর মিছিলে তপ্ত জেলা থেকে শহর

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 31, 2022 | 12:56 PM

Demand Of School Reopening: স্কুল খোলার দাবিতে উত্তেজনা ছড়ায় দমদম বিমানবন্দরের সামনেও। এসএফআই-এর মিছিল ঘিরে উত্তজেনা।

Demand Of School Reopening: আমাদের লাথি মেরে কী হবে, পুলিশকেও বুঝতে হবে তাদের সন্তানরাও সাফার করছে..., এসএফআই-এর মিছিলে তপ্ত জেলা থেকে শহর
বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভ এসএফআই-এর (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: দিকে দিকে স্কুল খোলার দাবি। বারাসতে জেলাশাসকের দফতরের অফিসে বিক্ষোভ এসএফআই- এর। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিক্ষোভকারীদের। অন্যদিকে, কলকাতা বিমানবন্দরের সামনেও বিক্ষোভ। গ্রেফতার একাধিক।

সোমবার জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচি নিয়েছিল এসএফআই। ইস্যু একটাই। স্কুল খুলতে হবে অবিলম্বে। একই দাবিতে এদিন সকালে বারাসত রেল স্টেশন থেকে মিছিল করে জেলাশাসকদের দফতরের সামনে যান বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু আগে থেকে সেখানে কোনও পুলিশ মোতায়েন ছিল না। জেলাশাসকের দফতরে সর্বদাই ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তা অমান্য করেই রীতিমতো দফতরের সিঁড়ি ধরে মিছিল করে ওপরে উঠে যেতে থাকেন। নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁদেরকে টপকেই একেবারে জেলাশাসকের চেম্বার পর্যন্ত পৌঁছে যান বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে অন্য গেট দিয়ে ঢোকে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।

সেক্ষেত্রে বেশ কিছুক্ষণের জন্য এলাকায় উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। ছাত্রদেরকে ঠেলে দফতরের বাইরে বের করতে থাকেন পুলিশ কর্মীরা। পরে রাস্তার ওপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। হাততালি, স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। সেখান থেকেও বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিতে থাকে পুলিশ।

এসএফআই নেতা বলেন, “পানশালা খোলা। কিন্তু পাঠশালা খোলা নেই কেন? প্রশ্ন করতে গিয়েছিলাম ডিএম অফিসে। কিন্তু পুলিশ গুণ্ডাদের মতো আচরণ করছে। আমাদেরকে ঠেলে বার করে দিল। আমাদের দোষ কী? আমাদেরকে লাথি মেরে সিঁড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।”

আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, “স্কুল কলেজ তো খুলতে হবে নাকি? ছ্যাবলামো হচ্ছে! নোনা জল ছিটিয়ে গঙ্গাসাগরের মেলা হচ্ছে, নোনা জল ছিটিয়ে স্কুল কলেজ খোলা হচ্ছে না কেন? এ কথা বলতে এসেছিলাম। পুলিশ আমাদের লাথি মেরেছে। যে পুলিশ তৃণমূলকে দেখলে টেবিলের তলায় লুকোয়, সেই পুলিশ ছাত্রছাত্রীদের দেখলে লাঠিপেটা করে।”

এদিকে, স্কুল খোলার দাবিতে উত্তেজনা ছড়ায় দমদম বিমানবন্দরের সামনেও। এসএফআই-এর মিছিল ঘিরে উত্তজেনা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিক্ষোভকারীদের। বেশ কয়েকজন এসএফআই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। জোর করে তাঁদেরকে গাড়িতে তোলা হয়েছে।

এসএফআই সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের প্রতিবাদের ভাষা আরও জোরাল হবে। নিরপরাধ ছাত্রদের পেটানোর জন্য যে পরিমাণ এনার্জি খরচ করছে সরকার, সেই পরিমাণ উদ্যোগ যদি স্কুল-কলেজ খুলতে দেখাত, তাহলে ভালো হত। পুলিশকে এটা বুঝতে হবে, লড়াই তাদের বিরুদ্ধে নয়, তাদের ঘরের সন্তানরাও সাফার করছে। আমরা স্কুল খোলার দাবি নিয়ে সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলব।”

রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। সরকারের ওপর আরও চাপ বাড়াতে ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে সওয়াল। সোমবার স্কুল খোলার দাবিতে কর্মসূচি রয়েছে তিন ছাত্র সংগঠনের। কলেজ স্কোয়ারে বিক্ষোভ এসএফআই-এর। রয়েছে প্রধান শিক্ষকদের রয়েছে বিকাশ ভবন অভিযান। দুপুরে বিকাশ ভবনে অভিযান ছাত্র পরিষদের। বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দেবে এবিভিপিও। ফরে আরও একবার এদিন উত্তাল হতে পারে শহর। প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসনও।

আরও পড়ুন: Post Poll Violence Case: সিবিআই তদন্তে অখুশি নিহত অভিজিতের দাদা, কাঁকুরগাছি মামলায় এবার নয়া মোড়

 

Next Article