
উত্তর ২৪ পরগনা: মোদী সরকারের নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কেন্দ্রের সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে আন্দোলন করে আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এবার বাংলায় সিএএ (CAA) কার্যকর করতে সেই মমতার সহযোগিতা চাইলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)! শুক্রবার রাজ্যে সিএএ চালু করা করা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন দিলীপবাবু।
এদিন অশোকনগরে একটি দলীয় সভায় অংশ নেন দিলীপ ঘোষ। মতুয়া অধ্যুষিত ওই অঞ্চল থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তিনি জানান মমতা চাইলে রাজ্যে সিএএ হবে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর নতুন করে সামনে আসছে ‘মতুয়া ফ্যাক্টর’। একুশের ভোটের আগে মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিষয়ে দেরি করার জন্য দলের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছিলেন শান্তনু। উঠেছিল তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন। সে সময় বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় শান্তুনুকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন তাঁদের সঙ্গেই আছেন সাংসদ। সম্প্রতি সেই শান্তনুকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করায় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মত, মতুয়াদের মন পেতেই কেন্দ্রীয় বিজেপির এই সিদ্ধান্ত।
এদিন সেই মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা থেকেই তাৎপর্যপপূর্ণ মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘যদি মতুয়াদের কথা ভেবেই শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করা হয়, তাহলে ক্ষতি কী! মতুয়ারা আমাদের বিশ্বাস করেছে। তাদের সম্মান দেব, সুরক্ষাও দেব, নাগরিকত্বও দেব।’ এরপর নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গে দিলীপবাবু অবশ্য বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তাড়াতাড়ি সিএএ লাগু হয়ে যাবে। আর তা হলে লকডাউন কাটলে সময় নিয়ে জারি হবে।’
আরও পড়ুন: মমতা বললেই নেত্রীর ‘নির্দেশ মেনে’ জেলে যেতে রাজি শুভেন্দু
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা বলেছিলেন বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ হবে। যদিও পাল্টা সে সময় এক সভা থেকে তাঁকে কটাক্ষ করে মমতা বলেছিলন, ‘এই ক্যা আর এনআরসি নিয়ে ক্যা-কো করতে এসেছে। ক্যা-কো এখানে করে বেরাও, ট্যাঁ-ফোঁ এখানে করা যাবে না।’ এখন সিএএ কার্যকর করতে কি সেই মমতা সরকারের উপরেই উপর নির্ভর করতে চাইছে বিজেপি? দিলীপের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চাই।’