উত্তর ২৪ পরগনা: “আগামীতে অনেক বড় সীমান্ত শহর হিসাবে উঠে আসবে পেট্রাপোল। তৈরি হবে নতুন রেল স্টেশন। কলকাতার সঙ্গে জুড়বে মেট্রো।” বাংলাদেশে অশান্তির আবহে যখন সবথেকে বেশি উদ্বেগ সীমান্ত নিয়ে তখন পেট্রাপোল নিয়ে বড় কথা বলে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি-র রেইজিং ডে উপলক্ষে শিলিগুড়িতে হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। এসেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেখান থেকেই পেট্রাপোলে বিএসএফ জওয়ানদের জন্য ৩০ কোটির আধুনিক ভবনের উদ্বোধন করেন। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন শান্তুনু ঠাকুর-সহ একগুচ্ছ নামজাদা ব্যক্তিত্ব।
পেট্রাপোলে শুক্রবারের অনুষ্ঠান থেকেই পেট্রাপোলের উন্নতি নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা বলেন শান্তনু। বলেন, “আগামীতে অনেক বড় সীমান্ত শহর হিসাবে উঠে আসবে পেট্রাপোল। পেট্রাপোল থেকে বাগদা পর্যন্ত রেল স্টেশন বানাতে চাই। আমরা চেষ্টা করব কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রোকে আনতে। যেভাবে বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ লোক কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন সে কারণে এখানে উন্নত পরিষেবা সত্যিই দরকার বলে আমি মনে করি।”
তিনি যে সামগ্রিক বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তাও জানান শান্তনু। বলেন, “আমি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু জায়গায় জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ আমি আশা করি এই সমস্যা আগামীতে মিটে যাবে। এটা হলে প্রান্তিক এলাকাগুলির অনেক উন্নতি হবে। এটা বাস্তবায়িত হলে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য সবথেকে সংক্ষিপ্ত ও সহজ রাস্তা হচ্ছে পেট্রাপোল। এই পেট্রাপোলের উন্নতি খুবই দরকার। বনগাঁর সাধারণ মানুষ আমাদের কর্মকাণ্ডে সাহায্য় করবেন বলে আশা করি।”
মনে করিয়ে দিলেন ভারতীয় সেনার ক্ষমতার কথা
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই পেট্রাপোল বন্দরে কর্মরত বিএসএফ জওয়ানদের জন্য তৈরি হয়েছে আধুনিক ভবন। এখানে পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির অধীনে হয়ে গিয়েছে ৩০ কোটি টাকার কাজ। রয়েছে আলাদা আলাদা ৪টি ভবন। থাকছে অত্যাধুনিক সব সুবিধা। তারই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শান্তনু। তবে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিতে ছাড়েননি তিনিও। সাফ বলেন, “বাংলাদেশের আসল সরকার যেটা ছিল সেটা আর নেই। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশেদের তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ওরা ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। ওখানে মৌলবাদ, জেহাদির কাজ বাংলাদেশকে এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। সিরিয়ার মডেলে তো ওখানে সভা হচ্ছে দেখছি। আমরা এসব কিন্তু সহ্য করব না।” একইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন ভারতীয় সেনার ক্ষমতার কথা। খানিক হুঙ্কারের সুরেই বলেন, “সেনা ক্ষমতার দিক থেকে পৃথিবীর মধ্য়ে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত। বৃহত্তম অর্থনীতির নিরিখে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তাই ভারতের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিতে এলে সমস্যা হয়ে যাবে। তবে ভারত সবসময় বাংলাদেশের বন্ধু ছিল। আগামীদিনেও থাকবে। যদি তাঁরা আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় তবেই এটা হবে। কিন্তু, আমাদের ভাগ করতে আসলে তো আমরা আর চুপ করে বসে থাকব না।”