
বনগাঁ: সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বাকি। সেজন্যই নাকি কেটে দেওয়া হয়েছে বিজেপি বিধায়কের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ। আর এই অভিযোগকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে তোপ দেগেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিজেপি বিধায়ক।
মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শুভজিৎ দাস বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি দাবি করেন, “বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাড়ির বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করেননি। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বাকি রয়েছে তাঁর। তাই সরকারিভাবে বিদ্যুতের লাইন কাটা হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে এটা লজ্জার।”
স্বপন মজুমদারের জেল খাটা অভ্যাস আছে বলেও তোপ দাগেন তৃণমূল নেতা। শুভজিৎ বলেন, “আমি যতদূর জানি তাঁর তিন ভাইয়ের নামে বিদ্যুতের বিল বাকি ছিল। সর্বোচ্চ বিল ছিল সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। বারবার সরকারি নোটিস উপেক্ষা করছিলেন। তাঁর নোটিস উপেক্ষা করার অভ্যাস আছে। জেল খাটার অভ্যাস আছে। মানুষের এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এদের আর জনপ্রতিনিধি করা উচিত নয়।”
তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বপন মজুমদার। অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিধায়কের বক্তব্য, তাঁর কোনও বিল বাকি নেই। তিনি বলেন, “আমাদের তিন ভাইয়ের একটি বাড়িতে তিনটে মিটার রয়েছে। মাসে গড়ে প্রত্যেক মিটারে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা বিল আসছে। কী এমন কারখানা বাড়িতে চলে যে ৩০ হাজার টাকা বিল আসবে? এটা জালিয়াতি চলছে। দুর্নীতি চলছে। সাধারণ মানুষকে জানাতে ছোট ভাইয়ের একটা বিল বাকি রেখেছি। জানিয়ে দিয়েছি, সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত বিল দেব না। একাধিকবার বলার পরও সংস্থার কোনও হুঁশ নেই। এরকম অভিযোগ আমার বিধানসভায় অনেকই আসছে।”