Dulal Bar on Recruitment Case: ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দনকে চেনেন, টাকা নিয়ে চাকরির কথাও শুনেছেন, বিস্ফোরক প্রাক্তন বিধায়ক

Dulal Bar on Recruitment Case: দুলাল বর দাবি করেছেন, ৫-৬ বছর আগে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন চন্দন। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তৃণমূলের সদস্য হয়েছিলেন।

Dulal Bar on Recruitment Case: 'রঞ্জন' ওরফে চন্দনকে চেনেন, টাকা নিয়ে চাকরির কথাও শুনেছেন, বিস্ফোরক প্রাক্তন বিধায়ক
চন্দনকে চেনেন বিজেপি নেতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2022 | 12:03 PM

বাগদা: একসময় তিনি নিজেও ছিলেন তৃণমূলে। তাই অনেক কিছুই তাঁর জানা। এবার এসএসসি-কাণ্ডে যাঁর নাম জড়িয়েছে সেই চন্দন মণ্ডলকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বাগদার সেই প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর। তাঁর দাবি, এই চন্দন মণ্ডল আসলে তৃণমূলেরই সদস্য। সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। টাকা নিয়ে সেই চন্দন মণ্ডল যে অনেকের চাকরি করে দিয়েছে, এ কথাও জানালেন দুলাল বাবু। আসলে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় চন্দন মণ্ডলের নাম উঠে এসেছে। আদালতের তরফেও চন্দনের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আদালতের সেই নির্দেশের পরই চন্দন সম্পর্কে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা।

কেন এই চন্দন মণ্ডলের নাম উঠে এল প্রাথমিকের মামলায়?

গত কয়েক মাসে ধরে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। ফেসবুকে চাকরি বিক্রি হচ্ছে বলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন উপেন বিশ্বাস। তিনি দাবি করেন, রঞ্জন টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করে। এই রঞ্জন কে, সেই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে সামনে আসে। উপেন বিশ্বাস সিবিআই-এর প্রাক্তন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর। তাই তাঁর করা পোস্ট উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেই মনে করছে আদালত। এবার এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই রঞ্জন আদতে কে, তা জানতে চান বিচারপতি। রাজ্যের দাবি, রঞ্জন কাল্পনিক চরিত্র।

উপেন বিশ্বাস সব জানেন!

দুলাল বর দাবি করেছেন, ৫-৬ বছর আগে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন চন্দন। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তৃণমূলের সদস্য হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্ভবত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ওই চন্দন। আর চাকরি দেওয়ার অভিযোগ? সেটাও সত্যি বলেই জানিয়েছেন দুলাল বর। তিনি বলেন, অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে শুনেছি। আগে ৪-৫ লক্ষ টাকা দিতে হত, এখন ১১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়। তবে তাঁর কথায়, যে ঘুষ দেয় সেও গোপনে দেয়, আবার যে ঘুষ নেয়, সেও গোপনে নেয়। কেউ সাক্ষী রাখেনা।

দুলাল বাবুর দাবি, তিনি চন্দনকে চিনলেও তাঁর কাছে তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নেই। উপেন বিশ্বাস সব জানেন বলেই দাবি দুলাল বরের। তিনি বলেন, উপেন বিশ্বাস সব জানেন। উনি যদি সহযোগিতা করেন, তাহলেই সব সামনে আসবে। বাগদা থানার ওসি-র কাছে খবর আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, উপেন বাবু আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি এই ইস্যুতে সিবিআইয়ের কাছে যাবেন না। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যদি এই নিয়ে তাঁর কাছে আসেন, তবে তিনি তদন্তের কাজে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। আদালতের তরফেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে উপেন বাবু তদন্তে সহযোগিতা করবেন।