Barasat: ‘রেগুলার রাতে চাই… ম্যাট্রিমনি থেকে এ কেমন বউমা এনেছিলাম’, মানতেই পারছেন না শ্বশুর
Barasat: মৃতের দাদা জানান, বিয়ে দেওয়ার সময় মেয়ের পরিবার থেকে কিছু নেওয়া হয়নি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় নানা অশান্তি।

বারাসত: কিছুদিন আগেই কুমোরটুলি ঘাট থেকে মৃতদেহ সহ মা-মেয়েকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনার পর থেকে মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ ও মা আরতি ঘোষের একের পর এক কীর্তি সামনে আসতে আসছে। ট্রলিব্যাগের মধ্যে যাঁর মৃতদেহ ছিল, তিনি সম্পর্কে ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি। তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মা ও মেয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, পিসিশাশুড়ি সুমিতাকে খুন করেই ক্ষান্ত হননি ফাল্গুনী ও আরতি। সুমিতার গায়ের সব গয়না খুলে বিক্রিও করেছেন তাঁরা। এবার ফাল্গুনী কীর্তি সামনে আনলেন তাঁর শ্বশুর সুবল ঘোষ।
ফাল্গুনীর শ্বশুরবাড়ি অসমে। স্বামী-শ্বশুর সেখানেই থাকেন। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শ্বশুর সুবল ঘোকে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ ডেকেছিল। অসমের জোরহাট থেকে সোমবার তিনি মধ্যমগ্রাম থানায় যান। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুবল বাবু জানান, আপাতত অন্য কোনও বিষয়েই মাথা ঘামাতে চান না তিনি। এই খুনের ঘটনা যারা ঘটাল, সেই দোষীদের যাতে চরম সাজা হয়, সেটাই চাইছে ঘোষ পরিবার।
সেই সঙ্গে সুবল ঘোষের গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর। নিজে বেছে যাঁকে পুত্রবধূ করে এনেছিলেন, তিনি যে এমন… তাই ভাবতেও পারেননি। এদিন তিনি বলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আমি এই মেয়েকেই ছেলের বউ করে এনেছিলাম।” নিজের সন্তানের দাম্পত্য জীবন কীভাবে নষ্ট হয়েছে, সেই বিষয়েই আক্ষেপ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
সুবল ঘোষ জানান, ২০১৮ সালে ম্যাট্রিমনি ওয়েবসাইটে খোঁজ মেলে ফাল্গুনীর। তারপর দেখেশুনেই ছেলে শুভঙ্করের সঙ্গে ফাল্গুনীর বিয়ে দেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়িতে জানানো হয়েছিল, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় ফাল্গুনীর বাবার। তারপর থেকেই নাকি মেয়ে ফাল্গুনী টিউশনি করতেন ও মা আরতি দেবী ফিজিওথেরাপির কাজ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু এদিন সুবল বাবু ফাল্গুনীর বাবার মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
ছেলের স্ত্রীর নিয়মিত মদ্যপানের বিষয়টি এদিন মুখ খোলেন শ্বশুর সুবল ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রথমে বুঝতাম না। পরে জেনেছি, ও মদ্যপান করত। রেগুলার রাতে ওর চাই। একবার তো পাড়ার মণ্ডপে মদ খেয়ে পড়েছিল। পাড়ার লোকেরা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।” সুবল ঘোষের দাবি, তাঁর ছেলে সব জানলেও পরিবারের সম্মানহানির ভয়ে কোনওদিন মুখ খুলতে পারেননি। সোমবার ফাল্গুনীকে আরও তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক। তাঁর মা আরতি ঘোষ রয়েছেন জেল হেফাজতে।

