উত্তর ২৪ পরগনা: ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া সংলগ্ন হালিশহর এলাকা। পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনেই বোমবাজি। হালিশহর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে সাত সকালে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ভাইস চেয়ারম্যানের শুভঙ্কর ঘোষ সকালে বাড়িতেই ছিলেন। অভিযোগ, ভোর চারটের সময় তাঁর বাড়ির বাইরে একটা বিকট শব্দ হয়। সেসময় ঘরের বাইরে বের হননি তিনি। তার কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে দেখেন দেওয়ালে বোমা ছোড়ার চিহ্ন। সুতোলি। একটা তাজা বোমা ছুড়ে দুস্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁর পাশের বাড়িটি আত্মীয়ের। ক্ষতি হয়েছে ওই বাড়িটিও।
সূত্র মাত্র জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় এক যুবক অমিতের হাত থাকতে পারে। তাঁর বিরুদ্ধে তোলা তোলার অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিককালে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলা চেয়েছিল অমিতের দলবল। তাতে প্রতিবাদ করেছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শুভঙ্কর। আর তার জেরেই এই বোমাবাজি বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ করছেন শুভঙ্কর।
শুভঙ্কর বলেন, “এই ওয়ার্ডে গত ৫-৬ বছর ধরে এই ঘটনাগুলো ঘটছে। শেষ দুবছর একটু শান্ত ছিল। যেহেতু আমি তৃণমূল করি, এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি, সেখানে অমিত সরকার নামে এক দুষ্কৃতী রয়েছে, তার সেটা পছন্দ নয়। বীজপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় তোলাবাজি করে।” দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি। ২০১৮,২০১৯,২০২০ সালেও শুভঙ্করের বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের দাদা এবার বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু অমিত সেঅর্থে কোনও দলই করেন না। তৃণমূলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। যদিও বিজেপি এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। উল্লেখ্য, এর আগেও তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে অমিত।
এদিকে, সোমবারই রাতভোর বোমাবাজি হয় ভাটপাড়ায়। মঙ্গলবার সকালেও এলাকা থেকে উদ্ধার হয় একাধিক তাজা বোমা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, কী করছে প্রশাসন? তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: আগুন নেভাতে কেউ বাধা দিয়েছিলেন সেই রাতে? এবার সিবিআই-এর মুখোমুখি দমকলকর্মীরা
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে এবার তলব সাসপেন্ড হওয়া আইসিকে, কঠিন হতে পারে ‘প্রশ্নপত্র’