Hingalganj: ‘বাচ্চাটাকে গাড়ির তলায় দিয়ে দেব?’, মাঝরাস্তায় সন্তানকে শুইয়ে প্রশ্ন করেন মহিলা… তারপরই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী পড়শিরা
Hingalganj: মাঝবয়সী ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলিতে বাপের বাড়ি তাঁর। বিবাহ সূত্রে মহিলা হিঙ্গলগঞ্জের ছোট সাহেব খালি এলাকায় থাকেন ।সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎই তার বাচ্চাকে নিয়ে সাহেব খালি নদীর এমএলএ স্কুলের ফেরিঘাটে বসে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ।

উত্তর ২৪ পরগনা: মাঝ রাস্তার ওপর শোয়ানো রয়েছে এক শিশুকে। বয়স বড়সড় সাত মাস। কিন্তু কেন? শিশুকে দেখেই ভিড় জমতে থাকে পথচলতি সাধারণ মানুষের। অদূরেই এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখেন তাঁরা। গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে জানতে পারেন, ওই শিশু তাঁরই সন্তান! কিন্তু তাকে মাঝরাস্তায় এভাবে কেন শুইয়ে রেখেছেন? মহিলা যা বললেন, তাতে গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেল সকলের। নিজের ৭ মাসের সন্তানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন মা! অভিযোগ তেমনই। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য হিঙ্গলগঞ্জের ছোট সাহেব খালি এলাকায়।
মাঝবয়সী ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলিতে বাপের বাড়ি তাঁর। বিবাহ সূত্রে মহিলা হিঙ্গলগঞ্জের ছোট সাহেব খালি এলাকায় থাকেন ।সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎই তার বাচ্চাকে নিয়ে সাহেব খালি নদীর এমএলএ স্কুলের ফেরিঘাটে বসে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ।
সাত মাসের বাচ্চাটি রাস্তার ওপরে শোয়ানো ছিল । এলাকাবাসীদের দাবি, ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ‘বাচ্চাটি মরে গেলে ভালো হয়, বাচ্চাটিকে কি গাড়ির তলায় দিয়ে দেবো?’ এরকম বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে থাকেন তিনি ।
এরপর বাচ্চাটিকে গিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন বলেও অভিযোগ । এলাকার মানুষ তড়িঘড়ি বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে । তখন ওই মহিলা নিজেই নদীতে নেমে যান। এরপর এলাকার মহিলা এবং লোকজন নদীর ঘাটে জড়ো হয়ে যান । তখন নদী থেকে উঠে এসে সাধারণ মানুষের কোল থেকে বাচ্চাটাকে ছিনিয়ে নিয়ে আছাড় মারারও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ । স্থানীয় মহিলাদের তৎপরতায় রক্ষা পায় বাচ্চাটি । এরপর খবর দেওয়া হয় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। খবর পেয়ে যায় হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশও। প্রাথমিকভাবে পুলিশও মনে করছে ওই মহিলার মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।

