Murder: বুলেটের বায়না জামাইয়ের, দাবি না মেটাতেই ‘লাশ’ হয়ে গেল মেয়ে
Murder: মেয়ের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা জিনিস চেয়ে প্রায়ই তাঁদের মেয়ের উপর চড়াও হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কখনও মোটা টাকা, তো কখনও আসবাব। চাহিদার শেষ ছিল না। এদিকে পারভিনের হত দরিদ্র বাবা খলিলুর রহমান গাজীর পক্ষে সর্বদা সেই সব দাবি মেটানো সম্ভব ছিল না।

স্বরূপনগর: চাই বুলেট! বায়না জামাইয়ের। না দিতে পারায় বাড়িতে তুলকালাম কাণ্ড। শেষে হাসপাতালের মর্গে মৃয়ের মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ল বাবা। শ্বশুরের সাফ দাবি, বুলেটের দাবি না মেটাতেই মেয়েকে মেরে ফেলেছে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। চাঞ্চল্যকর ঘটনা, স্বরূপনগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, হাসনাবাদ থানার বরুনহাটের রামেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুতলা গ্রামের বছর চব্বিশের তুহিনা পারভিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল স্বরূপনগরের বছর সাতাশের সাব্বির আহমেদ মণ্ডলের। বিয়ের পর কেটেছে প্রায় ৮ বছর।
মেয়ের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা জিনিস চেয়ে প্রায়ই তাঁদের মেয়ের উপর চড়াও হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কখনও মোটা টাকা, তো কখনও আসবাব। চাহিদার শেষ ছিল না। এদিকে পারভিনের হত দরিদ্র বাবা খলিলুর রহমান গাজীর পক্ষে সর্বদা সেই সব দাবি মেটানো সম্ভব ছিল না। তাও তিনি বলছেন, নিজের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পরেও বিয়েতে মেয়েকে সোনার গয়না, বেশ কিছু নগদ টাকা, ও ঘরের জিনিসপত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু, চাহিদা মেটেনি সাব্বিরের পরিবারের। সম্প্রতি সে একটা বুলেটের বায়না শুরু করে বলে খবর। সেই কথা শ্বশুরের কান পর্যন্ত তুলেছিল। বাড়িতেও চলেছিল তুমুল অশান্তি।
খলিলুর জানাচ্ছেন, এরইমধ্যে মেয়ের বাড়ির এলাকার এক ব্যক্তি তাঁদের জানান মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ধান্যকুড়িয়া গ্রামীন হাসপাতালে মৃতদেহ রয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তাঁরা। তাঁদের দাবি, মেয়ের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুলেটের দাবি না মানাতেই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার আগে দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। মাটিয়া থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন শ্বশুর। যদিও ঘটনার পর থেকেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কোনও খোঁজ মিলছে বলে খবর। ঘটনায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।





