উত্তর ২৪ পরগনা: সকালবেলা পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন যুবক। এলাকার চেনা পরিচিতর সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তখন ওই যুবকের স্থানীয় এক বন্ধু আসেন সেই চায়ের আড্ডায়। একথা-ওকথায় শুরু হয় দুই বন্ধুর মধ্যে কথাকাটাকাটি। তারপর তা পৌঁছায় বিবাদে। তখনই একবন্ধু অপর বন্ধুর উপর পাশে পড়ে থাকা কুড়ুলের কোপ মারেন। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন জখম ব্যক্তি। পরে আর বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
কী নিয়ে ঝামেলা?
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার কুলবেরিয়া পারুইপারা গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ ঘোষ (৩৭)। কয়েক বছর আগে আনন্দের বিয়ে হয় তিরিশের কাকলী ঘোষের সঙ্গে। সোমবার সকাল নাগাদ পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন আনন্দ। সেই সময় ওই স্থানে আসেন বাসুদেব ঘোষ। কথোপকথনের মধ্যে হঠাৎ তিনি দাবি করেন কাকলীর সঙ্গে তাঁর গোপনে সম্পর্ক রয়েছে। এবার নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর পরকীয়ার সম্পর্কের অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি আনন্দ। ফলত বাসুদেবের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পরেন তিনি। এরপরই পাশে রাখা কাটারি হাতে তুলে নেন আনন্দ। কোপ মারেন বাসুদেবের মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বাসুদেব লুটিয়ে পড়ে সেখানেই। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, বাসুদেবকে কাটারির কোপ মারার পর সোজা বাড়িতে আসেন আনন্দ। সামনে নিজের স্ত্রীকে দেখতে পেয়ে আরও ক্ষেপে যান তিনি। ওই কুডুল নিয়ে স্ত্রীকে মারবেন বলে উদ্যত হন।তবে পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান কাকলি। তবে কুড়ুলের আঘাত লেগেছে তাঁর। যদিও, প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ঘটনার তদন্তে নেমে আনন্দ ঘোষকে আটক করেছে পুলিশ।