Baguiati Murder: মদ-গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করে ভাই-ভাইয়ের বউয়ের হাতে ‘খুন’ বাগুইআটির এক ব্যক্তি
Baguiati Murder: ঘটনাস্থল বাগুইআটির আদর্শ পল্লী। সেখানে মদ ও গাঁজা বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তবে মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে ছিলেন বিশ্বজিতের দাদা রবিন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী। একাধিকবার প্রতিবাদ ও করেন তিনি।
বাগুইআটি: বাগুইআটিতে মৃত্যু প্রতিবাদীর। মদ-গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করায় নিজের ভাই আর ভাইয়ের বৌ-এর হাতে আক্রান্ত তিনি। শুধু তাই নয়, মারধরের জেরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বাগুইআটি থানায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল বাগুইআটির আদর্শ পল্লী। সেখানে মদ ও গাঁজা বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তবে মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে ছিলেন বিশ্বজিতের দাদা রবিন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী। একাধিকবার প্রতিবাদ ও করেন তিনি। কিন্তু কোনও কথাই শুনতেন না বিশ্বজিৎ ও পূর্ণিমা এমনটাই অভিযোগ।
এরপর সেই প্রতিবাদ থেকে শুরু হয় ভাইয়ে-ভাইয়ে বিবাদ। অভিযোগ, গতকাল দাদা রবিন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্তরা। তীব্র চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। তাঁরাই উদ্ধার করেন রবিনবাবু ও অর্চনা দেবীকে। ভর্তি করা হয় স্থানীয় দেশবন্ধু হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই রবিন মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই মৃত্যুর পর এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার কাউন্সিলর ও বাগুইআটি থানার পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হলে বিশ্বজিৎ ও পূর্ণিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মৃতের স্ত্রী অর্চনা মণ্ডল বলেন, “কালকে মদ খেয়ে সারাদিন ঝামেলা করেছে দেওর আর দেওরের বৌ। এরপর আমাদের ঘরে ইট ছুড়ে মেরেছে। তারপর আমি কাউন্সিলরকে ডেকে দেখাই কী করছে ওরা। কাউন্সিলর আসতেই পা ধরে ওরা বলল দাদা আর করব না। কাউন্সিলর পাড়ার গলি অবধি গিয়েছে। ফের শুরু করল ইট মারা। আমি আমার স্বামীর হাত টেনে ধরেছিলাম। বলেছিলাম যেও না। কিন্তু উনি এগিয়ে গেলেন দরজা খুলতেই ইট লাগল মাথায়। তারপর সব শেষ।”