সিপিএম নেতার গোপন অডিয়ো ফাঁস! কামারহাটি বোমাকাণ্ডে থানায় অভিযোগ দায়ের মদনের

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Aug 28, 2021 | 1:24 PM

TMC: বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দুয়ারে সরকারের শিবিরের কাজ চলাকালীন দুই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে বোমাবাজি করে ও গুলি চালায় বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনায় আহত হন মোট আট জন।

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: কামারহাটি বোমাকাণ্ডে ফের বিস্ফোরক মদন মিত্র (Madan Mitra)। বৃহস্পতিবার রাতে কামারহাটির তৃণমূল কার্যালয়ে  বোমাবাজির ঘটনায় প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের একটি গোপন ফোনকলের অডিও ফাঁস করলেন তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি এও অভিযোগ তুললেন, সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা করেছে। ঘটনায়, সিপিএম নেতা  মানস মুখোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক।

শুক্রবার, পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “কামারহাটির চতু্র্দিক সিসিক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সেই ক্যামেরাতে দেখা গিয়েছে কারা এই হামলা করেছে। তারা সমাজবিরোধী শুধু নয়, তারা সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গেও যুক্ত। কামারহাটির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেছেন বোমাগুলি চালাবেন। কামারহাটিতে আবার বোম-গুলি চলবে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আপনারা সতর্ক থাকুন।”

এখানেই থামেননি তৃণমূল বিধায়ক। সিপিএম নেতা মানস মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “মানসবাবু ফোনকলে বলছেন প্রয়োজনে লাশ ফেলে দেবেন। মদন মিত্রকে বোমা মারবেন। তরুণ দল ক্লাবঘর সিপিএমের হাতে তুলে দিতে হবে। নয়ত, গুন্ডারাজ চলবে। আমাদের তরুণ দল ক্লাবের সম্পাদককে ফোন হুমকি দিয়ে তিনি বলছেন ওই ক্লাব তাঁর চাই। তিনি কাউকে ভয় পান না। আমি আজই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি মানসবাবুর বিরুদ্ধে।”

ঠিক কী শোনা গিয়েছে ওই অডিয়ো ক্লিপে? শোনা যাচ্ছে, বাম নেতা মানস মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে বলা হচ্ছেে, “মানস মুখোপাধ্যায় কাউকে ভয় পায় না। এই পাড়ার লোক কোনওদিন আমায় ভোট দেয়নি। তাই পাড়ার লোক নিয়ে আমি চিন্তা করি না। ওই তরুণ দল ক্লাব আমার চাই। ওখানে তৃণমূল দখল করে যা ইচ্ছে তাই করবে তা হতে পারে না। গুন্ডা পাঠানোর হলে পাঠাবো। কয়েক কোটি টাকা ঢালব। প্রয়োজনে চার-পাঁচটা লাশ পড়বে। ওতে কিছু আসে যায় না। মানস মুখোপাধ্যায় কাউকে ভয় পায় না। মদন মিত্র কত বোমা মারবে! মেরে দেখাক! পাল্টা আমরাও দিতে জানি। সেরকম হলে আমি তৃণমূলে চলে যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বলব দলে নিন। এলাকার চেহারা বদলে যাবে।” ফাঁস হওয়া সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

পাল্টা, বাম নেতা মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা শান্তি চাই। এলাকার মানুষ অশান্তিতে রয়েছে। আমরা সেই শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। মদন মিত্র যা অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওঁ যে অডিয়ো ক্লিপটি প্রকাশ করেছেন সেটিও বানানো। এর পেছনে তৃণমূলেরই ষড়যন্ত্র রয়েছে। আমি আদালতে যাব। মদন মিত্রের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।”

বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দুয়ারে সরকারের শিবিরের কাজ চলাকালীন দুই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে বোমাবাজি করে ও গুলি চালায় বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনায় আহত হন মোট আট জন। তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা ও একজন শিশুও রয়েছে। আহতদের সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। কার্যালয় থেকে মাত্র ১৫ গজ দূরে পুলিশ ফাঁড়ি। প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এই ‘হামলা’ চলল তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মাবাজির ঘটনায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “কামারহাটিতে বিজেপির কোনও জায়গা নেই। তাই বিজেপির ঘাড়ে দোষ দিলে হবে না। ওখানকার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।”

আরও পড়ুন: ‘নবান্নে চাকরি চান?’ লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, ধৃত তৃণমূল নেতা

উত্তর ২৪ পরগনা: কামারহাটি বোমাকাণ্ডে ফের বিস্ফোরক মদন মিত্র (Madan Mitra)। বৃহস্পতিবার রাতে কামারহাটির তৃণমূল কার্যালয়ে  বোমাবাজির ঘটনায় প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের একটি গোপন ফোনকলের অডিও ফাঁস করলেন তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি এও অভিযোগ তুললেন, সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা করেছে। ঘটনায়, সিপিএম নেতা  মানস মুখোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক।

শুক্রবার, পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “কামারহাটির চতু্র্দিক সিসিক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সেই ক্যামেরাতে দেখা গিয়েছে কারা এই হামলা করেছে। তারা সমাজবিরোধী শুধু নয়, তারা সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গেও যুক্ত। কামারহাটির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেছেন বোমাগুলি চালাবেন। কামারহাটিতে আবার বোম-গুলি চলবে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আপনারা সতর্ক থাকুন।”

এখানেই থামেননি তৃণমূল বিধায়ক। সিপিএম নেতা মানস মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “মানসবাবু ফোনকলে বলছেন প্রয়োজনে লাশ ফেলে দেবেন। মদন মিত্রকে বোমা মারবেন। তরুণ দল ক্লাবঘর সিপিএমের হাতে তুলে দিতে হবে। নয়ত, গুন্ডারাজ চলবে। আমাদের তরুণ দল ক্লাবের সম্পাদককে ফোন হুমকি দিয়ে তিনি বলছেন ওই ক্লাব তাঁর চাই। তিনি কাউকে ভয় পান না। আমি আজই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি মানসবাবুর বিরুদ্ধে।”

ঠিক কী শোনা গিয়েছে ওই অডিয়ো ক্লিপে? শোনা যাচ্ছে, বাম নেতা মানস মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে বলা হচ্ছেে, “মানস মুখোপাধ্যায় কাউকে ভয় পায় না। এই পাড়ার লোক কোনওদিন আমায় ভোট দেয়নি। তাই পাড়ার লোক নিয়ে আমি চিন্তা করি না। ওই তরুণ দল ক্লাব আমার চাই। ওখানে তৃণমূল দখল করে যা ইচ্ছে তাই করবে তা হতে পারে না। গুন্ডা পাঠানোর হলে পাঠাবো। কয়েক কোটি টাকা ঢালব। প্রয়োজনে চার-পাঁচটা লাশ পড়বে। ওতে কিছু আসে যায় না। মানস মুখোপাধ্যায় কাউকে ভয় পায় না। মদন মিত্র কত বোমা মারবে! মেরে দেখাক! পাল্টা আমরাও দিতে জানি। সেরকম হলে আমি তৃণমূলে চলে যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বলব দলে নিন। এলাকার চেহারা বদলে যাবে।” ফাঁস হওয়া সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

পাল্টা, বাম নেতা মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা শান্তি চাই। এলাকার মানুষ অশান্তিতে রয়েছে। আমরা সেই শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। মদন মিত্র যা অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওঁ যে অডিয়ো ক্লিপটি প্রকাশ করেছেন সেটিও বানানো। এর পেছনে তৃণমূলেরই ষড়যন্ত্র রয়েছে। আমি আদালতে যাব। মদন মিত্রের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।”

বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দুয়ারে সরকারের শিবিরের কাজ চলাকালীন দুই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে বোমাবাজি করে ও গুলি চালায় বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনায় আহত হন মোট আট জন। তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা ও একজন শিশুও রয়েছে। আহতদের সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। কার্যালয় থেকে মাত্র ১৫ গজ দূরে পুলিশ ফাঁড়ি। প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এই ‘হামলা’ চলল তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মাবাজির ঘটনায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “কামারহাটিতে বিজেপির কোনও জায়গা নেই। তাই বিজেপির ঘাড়ে দোষ দিলে হবে না। ওখানকার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।”

আরও পড়ুন: ‘নবান্নে চাকরি চান?’ লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, ধৃত তৃণমূল নেতা

Next Article