‘নবান্নে চাকরি চান?’ লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, ধৃত তৃণমূল নেতা

TMC: ঘোলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পানিহাটি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নবান্নে (Nabanna) চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসছিল।

'নবান্নে চাকরি চান?' লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, ধৃত তৃণমূল নেতা
ধৃত তৃণমূল নেতা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2021 | 7:44 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: নবান্নে (Nabanna) সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে অরিন্দম দাস নামে এক তৃণমূল (TMC) নেতাকে গ্রেফতার করল ঘোলা থানার পুলিশ। যদিও, শাসক শিবিরের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।

ঘোলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পানিহাটি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নবান্নে (Nabanna) চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসছিল। সেইমতো, অপরাধীকে ধরতে  রীতিমতো ওঁত্‍ পেতেছিলেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, তৃণমূলের নেতা বলে পরিচিত অরিন্দমের প্রতারণার খবর দলের কাছে গিয়েছিল আগেই। শুক্রবার, মধ্য়মগ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেতাকে টাকা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠান প্রতারিতরা। সেই ফাঁদে পা দিয়ে মুড়াগাছায় এসে পৌঁছন অরিন্দম। তখনই তাঁকে ধরে ফেলেন তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

অভিয়োগ, অরিন্দম অনেককেই বলতেন, টাকা দিলেই নবান্নে কৌশলে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। এইভাবে কৌশলে অনেকের থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। জেরার মুখে অরিন্দম স্বীকার করেন চাকরি দেওয়ার নামে তিনি টাকা নিয়েছেন। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে  ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার ধৃত অরিন্দমকে ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হলে তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

ঘটনায়, ব্যারাকপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সভাপতি সুপ্রিয়া ঘোষ বলেন, “কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার করে এই ধরনের প্রতারণা করে থাকে সে তো আমাদের হাতে নেই। তবে দোষীকে কোনওভাবেই রেয়াদ করা হবে না। দলের যত ঘনিষ্ঠ সদস্যই হোন না কেন তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। আইন আইনের পথে চলবে। তবে এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সাধারণ মানুষকেও বলব, সতর্ক হতে। কারোর পরিচয় সঠিকভাবে না জেনে কী করে সেই ব্যক্তির হাতে টাকা দেওয়া যায়! তাছাড়া, টাকা দেওয়ার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত যাঁকে টাকা দেওয়া হচ্ছে এবং যে শর্তে দেওয়া হচ্ছে সেই শর্ত তিনি পালনে সক্ষম কি না। সবদিক না দেখে এভাবে টাকা দিলে প্রতারিত হতেই হবে। ” ঘটনায়, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “এই ধরনের ঘটনা তো রোজই ঘটছে। তৃণমূল মানেই তো কাটমানি আর জোচ্চুরি। এ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।” আরও পড়ুন: ইসির গোপনীয়তা ফাঁস! প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত সদস্যকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ বিশ্বভারতীর