উত্তর ২৪ পরগনা: এখনও মিলছে না নিখোঁজ রাহুলের দেহ। রাত ভোর তল্লাশিতেও কোনও ‘ক্লু’ই আসে না খড়দার তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। পুলিশের সন্দেহ খুন করে দেহ গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে উঠে এসেছে বেশ কয়েকজনের নাম। বাপ্পা নামে এক যুবকের নাম উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। পুলিশের অনুমান, খুনের প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁরা রাহুলের দেহ গঙ্গায় ফেলে থাকতে পারে।
১ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ খড়দার জয়প্রকাশ কলোনির বাসিন্দা রাহুল ঝাঁ। পরিবার সূত্রে জানা যা, শেষ দিন ভোটার কার্ড করবে বলে সেদিন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। তারপর দশ দিন কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। এরপরই থানায় অভিযোগ জানায় রাহুলের বাড়ির লোকেরা।
খড়দহ থানার পুলিশ রাহুলের ফোন তল্লাশি করে তার দুই বন্ধু বাপ্পা ও সুশান্তকে আটক করে। পুলিশ ও পরিবার উভয়ের দাবি যে, ত্রিকোণ প্রেমের কারণেই খুন হতে হয়েছে ওই যুবককে।
রাহুলের মা শীলা দেবী ঝাঁ বলেন, “আমার ছেলে সারাদিন বাপ্পার বাড়িতেই থাকত। শুধু খাওয়ার সময় বাড়িতে আসত নয়ত ওদের বাড়িতেই সারাদিন কাটাত। গত ১ তারিখ বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় বলল পুরোসভায় যাচ্ছি ভোটার কার্ড করাব বলে। তারপর আর কোনও খবর পেলাম না ওর। জানি না আমার ছেলের কী হয়েছে।”
অন্যদিকে, একনাগাড়ে কেঁদেই চলেছে রাহুলের বোন নিতু দাস। তিনি বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে বাপ্পাই আমার ভাইকে হয়ত মেরে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ নিজেদের তদন্ত করছে। প্রমাণ অনুযায়ী কাজ করছে। কিন্তু ওনারাও সন্দেহ করছে যে রাহুলকে মেরে ফেলা হয়েছে। ”
তবে রাহুলের দেহ খুন করে কোথাও গুম করে রেখেছে কিনা তদন্ত করছে খড়দহ থানার পুলিশ। এদিকে, রাহুলের দাদা রাকেশ ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরেছে রাহুল কে খুন করে কোথাও ফেলে দিয়েছে বাপ্পার দলবল। তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই জেলায় একের পর এক গৃহবধূ খুনের খবর সামনে আসছিল। শ্যামনগরে নেশার টাকা না মেলায় গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, নেশার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে স্বামী । এরপর ছেলের সামনেই মাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিল সে। ঘটনার পর পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত স্বামীকে।
আরও পড়ুন: Body Recovered at Patashpur: চুরির টাকার বাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধ, পটাশপুরে গুলিকাণ্ডে ধৃত ৩
আরও পড়ুন: Road Accident: রক্তে ভাসছে রাস্তা, পাশেই পড়ে হাঁটু থেকে কাটা পা! মায়ের বীভৎস পরিণতি দেখল ছেলে