উত্তর ২৪ পরগনা: নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় এবার ঠাঁই পেতে চলছেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। বহু প্রতীক্ষিত সেই ডাক পেলেন তিনি। মঙ্গলবার দিল্লিতে তলব করা হয়েছে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। ডাক পেয়েছেন আরেক সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও (Nisith Pramanik)।
গত দু’সপ্তাহ ধরেই মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে জল্পনা চলছিল। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় মোদীর বাসভবনে হওয়ার কথা ছিল উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, জেপি নাড্ডাদের। কিন্তু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাতিল হয়ে গিয়েছে সেই বৈঠক। তবে পরবর্তী কালে এই বৈঠক হবে।
মঙ্গলবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে শান্তনু ঠাকুরের। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া ভোটকে পাখির চোখ করেছিল বিজেপি। তবে সপ্তাহ তিনেক আগে মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ শান্তনু ঠাকুরের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা।
মুকুলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের দিনই বনগাঁয় দিলীপের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন তিন বিধায়ক। ছিলেন না সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। আর তাতেই তুঙ্গে ওঠে চর্চা। কেন এড়ালেন বৈঠক? প্রতিক্রিয়া মেলেনি অনুপস্থিত সাংসদ-বিধায়কদের। শান্তনু ঠাকুর ভোটের আগেই ক্ষুন্ন হয়েছিলেন সি এ এ লাগু না হওয়া নিয়ে। ভোটে কার্যত বিজেপির ভরাডুবির পর শান্তনু কি বিজেপির হাতছাড়া হতে পারেন? তা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা চলতে থাকে। ফলে দিলীপের বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি যে আগ্রহ তৈরি করবে তা তো বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: বাতিল মোদীর বৈঠক, ক্যাবিনেট সম্প্রসারণে নতুন মোড়?
এসবের মধ্যেই শোনা যায়, এবার মোদীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে চলেছেন শান্তনু ঠাকুর। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরের মন্ত্রিসভায় ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল বলে বিজেপি নেতাদের একাংশ জানিয়েছেন। নয়া নাগরিকত্ব আইন এখনও লাগু হয়নি, তাতে ক্ষোভ রয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে। তা নিরসন করতে শান্তনুকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হতে পারে। এদিকে, মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও। গত লোকসভা ও বিধানসভায় টানা ভালো ফল করেছে বিজেপি। তারই পুরস্কার স্বরূপ এই মন্ত্রিত্ব বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।