নিমতার ‘প্রহৃত’ বৃদ্ধার মৃত্যুতে টুইট শাহর, টায়ার জ্বালিয়ে নিমতা থানার সামনে বিক্ষোভ

নিমতা: “তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলায় মৃত্যু হল বাংলার মহিলার।” নিমতায় (Nimta Case) ‘প্রহৃত’ সেই বৃদ্ধার মৃত্যুতে টুইট করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় নিমতার পাটনা ঠাকুরতলার আশি বছরের বৃদ্ধা শোভারানি মজুমদারের। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে নিমতায় দেহ নিয়ে মৌন মিছিল বার করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বলে, ভোরে ওই বৃদ্ধার সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। মারধরে মাথায় আঘাত লেগেছিল, আর তা থেকেই মৃত্যু বলে অভিযোগ করে তারা। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নিমতা থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেন। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর নেতৃত্বে থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে আগামী দিনে বড় আন্দোলনের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

নিমতা থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের

যদিও এই নিয়ে তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের বক্তব্য, “এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি প্রথম থেকেই অনেক হইচই করছে। যে কারোর মৃত্যুই দুঃখজনক। বয়সজনিত কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। সব বিষয়ে রাজনীতি করাটা বাজে ব্যাপার।”

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। সেটা ছিল শুক্রবার। রাত দেড়টা নাগাদ নিমতার বাসিন্দা গোপাল মজুমদারের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল। পরিবারের অভিযোগ, দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয় গোপাল মজুমদারকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত মা-ও।

নিমতায় বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে সুরক্ষিত নন মায়েরাই। বাংলার মেয়ে স্লোগানে কটাক্ষ করে সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, অমিত মালব্যরা। বৃদ্ধার সেই ছবি পোস্টার করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে টানানো হয়েছে। তাতে ইংরাজিতে লেখা, ‘ইজ সি নট অ্যা ডটার অফ বেঙ্গল?’

এরপর ১ মার্চ তাঁকে দেখতে যান শুভেন্দু অধিকারী ও অর্জুন সিং। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর চার দিন আগে বৃদ্ধাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোমবার ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এই নিয়ে অমিত মালব্য টুইট করেন।

আরও পড়ুন: ‘বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু, তৃণমূলের কোনও যোগ নেই’, নিমতার সেই বৃদ্ধার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া সৌগতর

অমিত টুইটে লেখেন, “বাংলার মেয়ে, কারোর মা, কারোর বোনের আজ মৃত্যু হল। তৃণমূলের লোকেরা নৃশংসভাবে তাঁকে মারধর করেছিল। সহানুভূতি জানিয়ে এক শব্দও ব্যয় করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিবারের ক্ষত কে পূরণ করবে? “