Halisahar: ‘আমি অনেক দূরে চলে যাব মা’, শ্বশুরবাড়ির ‘অত্যাচার’, চরম পরিণতি যুবকের
Halisahar: এরপর মঙ্গলবার রাতে সুনিতকে ব্যাপক মারধর করেন তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলে অভিযোগ। তারপর আবার তাঁরাই গিয়ে থানায় অভিযোগ জানায়। পরবর্তীতে পুলিশ সুনিতকে থানায় নিয়ে গেলেও পরে ছেড়ে দেয়।

হালিশহর: হাড়হিম ঘটনা হালিশহরে। স্বামীকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মহিলা পলাতক। মৃতের মা অভিযোগ দায়ের করলেন থানায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বীজপুর থানার পুলিশ।
কাঁচরাপাড়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড শরৎপল্লীর বাসিন্দা সুনিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় স্নেহা মুখোপাধ্যায়ের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেছিল। মাঝে মাঝে মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন এসে সুনিতকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ।
এরপর মঙ্গলবার রাতে সুনিতকে ব্যাপক মারধর করেন তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলে অভিযোগ। তারপর আবার তাঁরাই গিয়ে থানায় অভিযোগ জানায়। পরবর্তীতে পুলিশ সুনিতকে থানায় নিয়ে গেলেও পরে ছেড়ে দেয়। মৃতের পরিবারের দাবি, তারপর থেকেই মন মরা ছিলেন তাঁদের ছেলে। বুধবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর নিজের ঘরে শুতে যান। সন্ধের সময় বাড়িতে আসেন তাঁর স্ত্রী স্নেহা। ডাকাডাকি করেন। সারা শব্দ না পেয়ে পেছনের জানালা দিয়ে দেখে সুনিতের মৃতদেহ। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে।
মৃতের পরিবারের সদ্যদের দাবি স্নেহাই খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তাঁদের আবার অনুমান, মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সুনিত আত্মহত্য়াও করতে পারেন। মৃতের মা বলেন, “আমি কাজে গিয়েছি। সেই সময় ফোন যায় আমার কাছে। নাতি ফোন করে বলল ঠাম্মি তুমি বাড়ি এসো। কাকা ঝগড়া করছে। আমার বৌমা ওর মা আর বাবা তিনজন মিলে মারছিল ছেলেকে। এরপর আমার কাছে থানা থেকে ফোন যায়। আমি যাই। আমায় থানার ভিতরে ঢুকতে চায়নি। ভিতরে কী কথা হয়েছে জানি না। এরপর আমার ছেলে পায়ে ধরে ক্ষমাও চায় শ্বশুর-শাশুড়ির। এরপর….আর কী করব। আমার মনে হচ্ছে ছেলেকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।”

