Panihati Utsav: এবার পালা কার! কুঁকড়ে এলাকার যুব তৃণমূল নেতারা, পানিহাটি উৎসবের অন্ধকার দিক প্রকাশ্যে

Panihati Utsav: প্রতি বছরই ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অমরাবতী মাঠে পানিহাটি উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রত্যেক বছরই মেলার দিনগুলোতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানে আশপাশের একাধিক এলাকা থেকে মানুষ ভিড় করেন।

Panihati Utsav: এবার পালা কার! কুঁকড়ে এলাকার যুব তৃণমূল নেতারা, পানিহাটি উৎসবের অন্ধকার দিক প্রকাশ্যে
পানিহাটি উৎসবে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত চারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2024 | 11:32 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটি উৎসবের শেষ হতেই শুরু পুলিশি ধরপাকড়। একের পর এক তৃণমূল নেতাকে বাড়ি থেকে তুলছে পুলিশ। অভিযোগ, এক মহিলা পুলিশ কর্মীর শ্লীলতাহানি। নিগৃহীত মহিলা পুলিশ কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতেই আরও এক জন যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সানি সাউ। মঙ্গলবার রাতে পানিহাটির স্বদেশী মোড় এলাকায় গোপন অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সানি সাউ তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা। এর আগে এই একই অভিযোগে, দীপ মজুমদার,  দুলাল দাস ওরফে ঋজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, প্রত্যেকেই এলাকার কাউন্সিলর স্বপন কুণ্ডুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।

প্রতি বছরই ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অমরাবতী মাঠে পানিহাটি উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রত্যেক বছরই মেলার দিনগুলোতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানে আশপাশের একাধিক এলাকা থেকে মানুষ ভিড় করেন। জনপ্রিয় অভিনেতা, গায়ক-গায়িকার শো দেখার জন্য। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন থাকে প্রচুর পুলিশ কর্মীও। এছাড়ার এলাকার বিধায়ক নির্মল ঘোষের পৌরহিত্যে এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাও স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করে থাকেন।

কিন্তু ২০২৩ সালের পানিহাটি উৎসবের ভিড় রেকর্ড ভাঙে। উৎসবের এক দিন ঘটে যায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। ভিড় সামলাচ্ছিলেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নিগৃহীত মহিলা পুলিশ কর্মী। তিনি মেলার ভিতরে অনুষ্ঠান মঞ্চের পাশে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ সেখানেই ভিড়ের মাঝে কয়েকজন যুবক তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। মহিলা পুলিশ কর্মীর বয়ান অনুযায়ী, তিনি প্রতিবাদ করলে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্যও চাপও সৃষ্টি করা হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে খড়দহ থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূল নেতা। বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলতে চাইছে না।