বসিরহাট: সকাল থেকেই লাগাতার উত্তেজনা ছিল রাজ্যের দ্বিতীয় দফার পুরভোটে। কোথাও লাগাতার ছাপ্পা, কোথাও মারধর, কোথাও চলল গুলি, কোথাও আবার পড়ল বোমা। এই উত্তেজনার মধ্যেই শেষ হল রাজ্যের পুরভোট। এদিকে, ভোট শেষেও থামেনি অশান্তি। মহিলাদের হাতেই আক্রান্ত খোদ পুলিশ।
বসিরহাট পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে ১৭০ ও ১৭১ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল নাগাদ ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোট দেওয়ার জন্য। সেই সময় বুথের মধ্যে জ্যাম করার অভিযোগ উঠছিল কয়েকজন মহিলার বিরুদ্ধে। ঠিক ওই সময় পুলিশ যায় জ্যাম হঠাতে। কিন্তু যাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই পুলিশকে ঘিরে রেখে প্রথমে হেনস্থা করা হয়। এরপর ভোটাররা পুলিশের গায়ে হাত তোলেন। এই নিয়েই মহিলাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। শেষমেশ হাত তুলে নেয় খোদ পুলিশ। পরে কিছুক্ষণের জন্য ভোট বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে বসিরহাট থানার পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে চলছে পুরসভা নির্বাচন। ১০৭ টি পুরসভায় চলছে নির্বাচন। ১০৮ টি পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দিনহাটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জিতে গিয়েছে শাসক শিবির। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পুরসভা। ছবি করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় টিভি৯ বাংলার সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিকও। দফায় দফায় বিক্ষোভ, ইভিএম ভাঙচুর, প্রার্থীকে মারধর, ছাপ্পা ভোট সহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তবে এইবার যে অভিযোগ উঠেছে তাতে চমকে যেতে পারেন যেকোনও নাগরিক। কোথাও ধর্ষণের হুমকি, কোথাও আবার বিবস্ত্র করার হুমকি উঠেছে। খোদ প্রার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উত্তর ব্যারাকপুরের সিপিএম প্রার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।