মধ্যমগ্রাম: ভোট পরবর্তী হিংসা কার্যত শুরু রাজ্যে। মধ্যমগ্রামে প্রায় দশ-বারোটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে বিজেপি-র কার্যালয়। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাতে লোহার রড বাস বন্দুক নিয়ে এলাকায় তাণ্ডব চালায়। তবে শুধু বারাসত নয়, নিউটাউন, ক্যানিংয় থেকেও একই অভিযোগ উঠছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নেতাজি পল্লীর। সেখানেই এই অভিযোগ উঠেছে বিজেপির কার্যালয়ের সাটারডে লাগাতার লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে এক দল দুষ্কৃতী। সেই সঙ্গে ওই এলাকার বাড়ি-ঘরেও ভাঙচুর চলে। কখনো মহিলাকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দেওয়ার হুমকি, কখনো বিজেপি করার অপরাধে লাগাতার কিল ঘুষি চড় মেরে গিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা। অভিযোগকারিণী যুবতী শ্রেয়া বসু বলেন, “রাত্রিবেলা এসে আমাদের বাড়িতে মেরেছে। ঘর ভেঙে দিয়েছে। একটুর জন্য আমার দাদা মারা যায়নি। ওকে ইট ছুড়ে মেরেছে। বিজেপি হেরে গিয়েছে সেই কারণে ওরা মেরেছে।”
ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী সাথে নিয়ে। বাহিনী চলে যাবার পরে আবার দুষ্কৃতীরা এসে তাণ্ডব চালায় এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনা এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি দত্তপুকুর থানার পুলিশ। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা গোপাল রায়ের দাবি, বিজেপি নিজেদের মধ্যে কোন্দল করে বাড়ি ভাঙচুর করেছে। কারণ লোকসভা নির্বাচনের টাকা নিয়ে ওদের মধ্যে কোন্দলের আগে থেকেই রয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি তাদের।