Post Poll Violence: মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমডাঙায় ‘স্পট ভিজিট’-এ সিবিআই
CBI: প্রথমে তদন্তে নামে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পরে হিংসা তদন্তের দায়ভার সিবিআইয়ের উপর ন্যস্ত হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই গতকাল বুধবার এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) তদন্তে ইতিমধ্যেই বেড়েছে মামলার সংখ্যা। বুধবারই নতুন তিনটি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই (CBI)। তারমধ্যে একটি আমডাঙায় রণজিত্ দাস নামে এক বিজেপি সমর্থকের অস্বাভাবিক মৃৃত্যুকে কেন্দ্র করে। সেই মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমডাঙায় ‘স্পট ভিজিট’ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।
বৃহস্পতিবার, আমডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের খণ্ডশর্করা গ্রামে তদন্তে আসেন সিবিআই কর্তারা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর গত ১০মে রণজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই ব্যক্তি বিজেপিরই সমর্থক ছিলেন। সেইজন্যই তাঁকে খুন হতে হয়। এমনকী, রণজিতের মৃত্যুর নেপথ্যে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় বিজেপির তরফে।
সেই ঘটনায় প্রথমে তদন্তে নামে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পরে হিংসা তদন্তের দায়ভার সিবিআইয়ের উপর ন্যস্ত হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই গতকাল বুধবার এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার, সেই ঘটনার তদন্ত করতে আমডাঙাতে আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কথা বলেন মৃতের পরিবারের সঙ্গেও। তারপর গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) মামলায় যুক্ত হয়েছে আরও তিনটি এফআইআর (FIR)। বুধবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই (CBI) দায়ের করা মামলা বেড়ে দাঁড়াল ৪৩-এ।
একুশের ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকটি। তার মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই করে বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, বহু ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে। শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনীহা দেখিয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। এর পর গত ১৯ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে, যে নতুন তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম কেসটি গল্ফ গ্রিন থানার। সিবিআই সূত্রে খবর, নির্যাতিতের পরিবার অভিযোগ করেছে, বাঁশ, লোহার রড, ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে দ্বিতীয় যে এফআইআরের কথা জানা যাচ্ছে, সেটা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানা এলাকার। গত ১ মে গঙ্গারামপুর থনায় একটি এফআইআর দায়ের হয়। সেখানে নির্যাতিতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, গত ২৭ এপ্রিল ধারাল অস্ত্র, বাঁশ, রড দিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। গঙ্গারামপুর কালদিঘি হাসপাতালে নির্যাতিত ভর্তি হন। কিন্তু তাঁকে ফেরানো যায়নি। হাসপাতালেই ২৯ এপ্রিল মৃত্যু হয় ওই রাজনৈতিক দলের কর্মীর। শেষ মামলাটি ছিল আমডাঙার।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা( Post Poll Violence) তদন্তে নেমে প্রথম সিবিআই যে মামলায় হাত দিয়েছিল সেটা বীরভূমের। ইলামবাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চার প্রতিনিধি। ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের মৃত্যুর তদন্ত করার লক্ষ্যে যান তাঁরা। ভোট পরবর্তী হিংসা ( Post Poll Violence) তদন্তে এটাই ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার (CBI) প্রথম হানা।
আরও পড়ুন:Child Death: ‘ছেলেটার মুখও দেখতে পারলাম না…’ ২৪ ঘণ্টা না পেরতেই হাসপাতালেই মৃত্যু সদ্যোজাতর!