Pradip Kar’s Death: আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন কেউ, খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের প্রদীপ করের ভাইয়ের স্ত্রীর
Pradip Kar's Death: প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে প্রথম থেকেই শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, এটা ফলস কেস। এবার তিনি বললেন, "এই ঘটনা পুরো সাজানো। এখন ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজ পড়ে লোক মরে গেলেও, বলতে NRC ভয়ে মরেছে। ১২টা রাজ্যে হচ্ছে, কারোর কিচ্ছু হচ্ছে না, এখানেই হয়েছে।"

উত্তর ২৪ পরগনা: NRC আতঙ্কে প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে একাধিক ধোঁয়াশা! একাধিক প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এটা আদৌ আত্মহত্যা কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এবার এই মৃত্যু রহস্যের জল গড়াল অনেক দূর! মৃত প্রদীপ করের ভাইয়ের স্ত্রী বুধবার রাতে খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতের ভাইয়ের স্ত্রীর অভিযোগ, কেউ বা কারা প্রদীপ করকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে।পুলিশ সূত্রের খবর, প্রদীপ করের সুইসাইড নোটের ফরেন্সিক পরিক্ষা হবে।
প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে প্রথম থেকেই শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘এটা ফলস কেস।’ এবার তিনি বললেন, “এই ঘটনা পুরো সাজানো। এখন ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজ পড়ে লোক মরে গেলেও, বলতে NRC ভয়ে মরেছে। ১২টা রাজ্যে হচ্ছে, কারোর কিচ্ছু হচ্ছে না, এখানেই হয়েছে।” তিনি এও বলেন, “হাতের লেখা ওনার না। রাজ্য সরকারের ফরেন্সিক তো সব বানানো।” কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে এই চিঠির হাতের লেখার পরীক্ষা করানোর দাবি তুলেছেন শুভেন্দু। আর সেটাও হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে করার দাবি জানিয়েছেন।
এদিন সকালেই প্রদীপ করের মৃত্যু খুনের তত্ত্বও খাড়া করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেউ আত্মহত্যা করলে, তাঁর হাতের মুঠোয় কীভাবে নোট এল? তাঁর কথায়, জানালা ভাঙা ছিল। সেই জানালা দিয়েই কেউ ঢুকে খুন করে থাকতে পারেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছিলেন, প্রদীপ করের ডান হাতের চারটে আঙুল ছিল না, সেক্ষেত্রে তিনি আদৌ লিখতে পারতেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতি এই অভিযোগ দায়ের রাজনৈতিক দিক থেকেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে NRC নিয়ে যে প্রদীপ কর আতঙ্কে ছিলেন, সেটা স্বীকার করছেন তাঁর প্রতিবেশীরাও। ওই ফ্ল্যাটেরই এক বাসিন্দা বলেন, “উনি একটু ভয়ে ভয়েই থাকতেন দেখেছি। কারোর সঙ্গে কথা বিশেষ বলতেন না। তবে NRC নিয়ে যে ভয় পেতেন, তা উনি ওনার ভাইয়ের স্ত্রীকে বলতেন। আসলে ওনার ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হত। উনি বোঝাতেনও, কিন্তু শুনতেন না।”
প্রসঙ্গত, বুধবারই আগরপাড়ায় গিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়েই ‘জাস্টিস ফর প্রদীপ কর’ স্লোগান তোলেন তিনি। রাতেই গিয়ে প্রদীপ করের ভাইয়ের স্ত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
