Pradip Kar’s Death: আদৌ শেষ কবে লিখেছিলেন প্রদীপ কর? ঘরের প্রত্যেকটা কাগজ খুঁটিয়ে দেখছে ফরেন্সিক টিম
Pradip Kar's Death: এই মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। রয়েছে একাধিক ধোঁয়াশাও। এই ধোঁয়াশা আরও বেশি জোরাল হয়, যখন পরিবারের সদস্যরাই জানান, তাঁর ডান হাতের চারটে আঙুল কাটা ছিল। '৮০ সালের আগে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর হাতের আঙুল কাটা যায়। প্রদীপ একটি দোকান চালাতেন।

উত্তর ২৪ পরগনা: SIR আবহে NRC আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ। আগরপাড়ার মৃত প্রদীপ করের বাড়িতে শুক্রবার পৌঁছালেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সুইসাইড নোটি কি আদৌ প্রদীপ করেরই লেখা? তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রদীপের করের সমস্ত জিনিস খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘরে আদৌ কোনও খাতা-ডায়েরি রয়েছে কিনা, কোনও পেন ব্যবহার করতেন প্রদীপ, তাঁর হাতে লেখা আর কোনও কাগজ আদৌ সেই ঘরে রয়েছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।
এই মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। রয়েছে একাধিক ধোঁয়াশাও। এই ধোঁয়াশা আরও বেশি জোরাল হয়, যখন পরিবারের সদস্যরাই জানান, তাঁর ডান হাতের চারটে আঙুল কাটা ছিল। ‘৮০ সালের আগে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর হাতের আঙুল কাটা যায়। প্রদীপ একটি দোকান চালাতেন। তিনি আদৌ তারপর আর লিখতেন কিনা, বা লিখতে পারতেন কিনা, সেটা পরিস্কার করে বলতে পারেননি কেউই। কারণ তাঁকে নিজের চোখে কেউ লিখতেও দেখছেন কিনা, তা বলতে পারছেন না। ফলে ধোঁয়াশা রয়েছে। আর এই বিষয়টিকেই ইস্যু করেছে বিজেপি।
বিজেপি এই মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এর নেপথ্যে খুনের তত্ত্বও খাড়া করেছেন। তাঁর অভিযোগ, জানালা ভাঙা ছিল। কেউ আত্মহত্যা করলে, তাঁর হাতের মুঠোর মধ্যে কীভাবে সুইসাইড নোট আসে। তাঁর অভিযোগ, কেউ জানালা দিয়ে ভিতরে ঢুকে খুন করেছে।
প্রদীপ করের মৃত্যু ফরেন্সিক টিম চাইছে বিজেপিও। প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে প্রথম থেকেই শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘এটা ফলস কেস।’ এবার তিনি বললেন, “এই ঘটনা পুরো সাজানো। এখন ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজ পড়ে লোক মরে গেলেও, বলতে NRC ভয়ে মরেছে। ১২টা রাজ্যে হচ্ছে, কারোর কিচ্ছু হচ্ছে না, এখানেই হয়েছে।” তিনি এও বলেন, “হাতের লেখা ওনার না। রাজ্য সরকারের ফরেন্সিক তো সব বানানো।”
