দেগঙ্গা: অপেক্ষার ছিল কয়েকমাস। আর তারপরই পরিবারে আসত ফুটফুটে শিশু। কিন্তু বাস্তবে তা হল না। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বেই মৃত্যু হল অন্তঃসত্ত্বা মায়ের। অভিযোগ, এলাকারই এক হাতুড়ে চিকিৎসকের ডিস্পেন্সারিতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রসূতি ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় ক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে এলাকায়।
দেগঙ্গা আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ সুন্দেপুকুর বাজার। অভিযোগ, সেখানেই বেআইনিভাবে ডিস্পেনসারি খুলেছেন চিকিৎসক আশরাফ আলি। ওই চিকিৎসাকেন্দ্রেই দীর্ঘদিন ধরে এলাকার প্রসূতি মহিলারা চিকিৎসা করাতেন বলে খবর। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার পরও স্থানীয় এলাকাবাসী আশরাফের কাছেই যেতেন। অন্যদিকে, টাকার লোভে ওই চিকিৎসক চিকিৎসা পরিষেবা দিতেন বলেও জানা গিয়েছে।
পারিবার সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম রুপালি কাহার (২১)। বাদুড়িয়া থানার গোকনার এলাকার বাসিন্দা তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূ তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁর শারীরিক সমস্যার কারণে সুন্দেপুকুর বাজারে ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের ডিস্পেন্সারিতে নিয়ে আসে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এরপর চিকিৎসক জানান ওয়াস করতে হবে। তবে ভয়ের কোনও কারণ নেই।
এরপর ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের হাতে গৃহবধূ চিকিৎসা করার সময় মৃত্যু হয় প্রসূতির। মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওই চিকিৎসালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। মৃতদেহের গাড়ি আটকে দেয় গ্রামবাসী। সাফ-সাফ দাবি জানাতে থাকেন যে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। সঙ্গে বন্ধ করতে হবে অবৈধ কারবার। পাশাপাশি অন্য এক গ্রামীণ চিকিৎসককে স্থানীয় দোকানদাররা শাটার ফেলে আটকে রাখে। পুলিশ তাঁকেও উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে।
আরও পড়ুন: Fake Death Certificate: সম্পত্তি হাতাতে ‘জীবিত’ বৃদ্ধাকে মেরেই ফেললেন প্রতিবেশী!