
উত্তর ২৪ পরগনা: বিস্ফোরক তিলোত্তমার মা-বাবা। দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ। সেই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য তাঁদের। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য, ধর্ষণ বন্ধ করতে এবার আইন হাতে তুলে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, রাস্তায় ফেলে ধর্ষকদের মারতে হবে। আর তারপরই ধর্ষণ বন্ধ করতে হবে।
তিলোত্তমার বাবা বলেন, “ও কি আর কোনও দিন পড়াশোনার কঠিন চাপ নিতে পারবে? আমার তো মনে হয় না। সে তো বিশেষভাবে সক্ষম। কত কষ্ট করে এই জায়গায় পৌঁছেছিল। আজ প্রশাসন যে অপরাধ করছে, আমার খারাপ লাগছে তাদের গাফিলতির জন্য এই ঘটনাগুলি ঘটছে। কেন ঘটবে? রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কী অবস্থা? সুতরাং মানুষকে সব ব্যাপারটা বুঝে নিতে হবে। ওদের তো ১৪ বছর দেখা হয়েছে আর দেখা হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই।”
তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। যারা প্রতিনিয়ত এই সব অন্যায় করে চলছে। পুলিশ কি তাদের দেখছে না? মানুষকেই হাতে তুলে নিতে হবে। অসমে যেন পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। এদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারতে হবে। প্রশাসন ধর্ষককে মদত দিচ্ছে। তাই মানুষকেই ধর্ষকদের পিটিয়ে মারতে হবে।”
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণী জলেশ্বরের বাসিন্দা। তিনি তাঁর বাকি সহপাঠীদের সঙ্গে ফুচকা খেতে যান। সেই সময় দুষ্কৃতী মেয়েটিকে কটূক্তি করে। খারাপ কথা বলতে শুরু করে। মেয়েটির সঙ্গে থাকা যুবককে ভয় দেখালে সে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তখনই জঙ্গলে নিয়ে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আজ সেই ঘটনারই প্রতিক্রিয়া দেন তিলোত্তমার মা-বাবার।