Sandeshkhali: ‘বৌমাকে দেখতে সুন্দর তাই মধ্যপ্রদেশে রেখে এসেছি, ওদের চোখে ভাল কেউ পড়লেই তো তুলে নিয়ে যায়’

সুমন মহাপাত্র | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Feb 19, 2024 | 11:14 AM

Sandeshkhali: অভিযোগ উঠেছে একাধিক। সন্দেশখালিতে ভোট হয় না। ১৩ বছর হল ভোট দেননি সন্দেশখালির ভোটারদের একটা বড় অংশ। এমনকী গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছিলেন আরতি পাত্র নামে সেখানকারই এক মহিলা।

Sandeshkhali: বৌমাকে দেখতে সুন্দর তাই মধ্যপ্রদেশে রেখে এসেছি, ওদের চোখে ভাল কেউ পড়লেই তো তুলে নিয়ে যায়
আরতি পাত্র
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

সন্দেশখালি: প্রায় দেড়মাসের কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে। খবর খুললেই এখন শুধু সন্দেশখালি আর সন্দেশখালি। প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে এলাকাবাসীদের একাংশদের ক্ষোভ যেন ছাই চাপা ছিল এতদিন। আজ কার্যত বিস্ফোরণের আকার নিয়েছে। সন্দেশখালি ইস্যু হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। আঙুল উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আবার শাসকদলও নিজেদের পক্ষে যথাযথ সওয়াল করছে। পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। অভিযোগ উঠেছে একাধিক। এবার তো সেখানকার মহিলা জানালেন, সন্দেশখালিতে ভোট হয় না। ১৩ বছর হল ভোট দেননি সন্দেশখালির ভোটারদের একটা বড় অংশ। এমনকী গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছিলেন আরতি পাত্র নামে সেখানকারই এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, ভোটে দাঁড়ানোর কথা ভাবতেই আরতি পাত্রর কাছে চলে এসেছিল ‘সাদা থান’।

টিভি ৯ বাংলার ক্যামেরায় কাঁদতে-কাঁদতে ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর কথা ছিল আরতি পাত্রের, মনোনয়ন তুলতে গেলে কপালে জোটে মার। অভিযোগের আঙুল উঠেছে সেই শিবু হাজরা ও শাহজাহান শেখদের বিরুদ্ধে। আরতি দেবী বললেন, “এখানে তো ভয় দেখিয়ে ভোট হয়। আমায় বলল ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থাকলে সাদা থান দেব। শাহজাহান-শিবু-উত্তমরা তো তিনটে মাথা। ওদের চ্যালা আছে অনেক। আজ প্রায় ১৩ বছর ভোট দিতে পারিনি। লোক ডেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর কালি লাগিয়ে দেয়। পুলিশ তো সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। ভিডিয়ো গেম খেলে। ভোট দিতে পারছি না দেখেও মুখ কথা নেই।”

আরতিদেবী জানালেন, এখন ওরা গ্রেফতার হওয়ায় কিছুটা শান্তিতে রয়েছে গোটা গ্রাম। তিনি বললেন, “আমরা কোনও রকমে বেঁচে আছি। প্রতিদিন অত্যাচার হয়। এই এখন কথা বলছি তাই যদি ওদের চ্যালারা দেখে রাত্রিবেলা দেখে কী করবে জানি না।” আরতি দেবীও অভিযোগ তুললেন নারী নির্যাতনের। বললেন, ” আমার বড় বৌমা আর আমার বড় ছেলে এখানে থাকে না। বড় বৌমাকে দেখতে সুন্দর। দেখতে পেলেই তো তুলে নিয়ে যাবে। তার জন্য আমার বৌমাকে এখানে রাখিনি।” আরও জানালেন,  “ওদের চোখে ভাল কেউ যদি পড়ছে সেই রাতেই তুলে নিয়ে যাবে।”

Next Article