AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sandeshkhali: ভেজা শরীর, ভেজা কাপড়! শাহজাহানরা নেই, তারপরও ‘ওঁদের’ তৃষ্ণা মেটাতে পাশের জেলায় যেতে আজও বাধ্য সন্দেশখালির মহিলারা!

Sandeshkhali: গ্রামের একটা নলকূপের বয়স ২৪ বছর। গ্রামবাসীরা বলছেন, ২০০০ সাল নাগাদ এই নলকূপ হয়। কিন্তু কলের গোড়াতেই বসানো রয়েছে একটা ফলক। তাতে লেখা রয়েছে ২০১৭-১৮ সালে এই ফলক বসানো হয়েছে।

Sandeshkhali: ভেজা শরীর, ভেজা কাপড়! শাহজাহানরা নেই, তারপরও 'ওঁদের' তৃষ্ণা মেটাতে পাশের জেলায় যেতে আজও বাধ্য সন্দেশখালির মহিলারা!
সন্দেশখালিতে আরেক পাঁকের হদিশ Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2024 | 7:01 AM
Share

সন্দেশখালি: দুর্নীতির কোপ তৃষ্ণার জলটুকুতেও। আর সেই তৃষ্ণা নেভাতে ভেজা শরীর, সিক্ত বসনে সন্দেশখালির মহিলারা সাঁতরে যান অন্য জেলায়। অপেক্ষা করেন, কখন আসবে ভাঁটা, কখন নদীতে হবে কোমর-জল!  শেখ শাহজাহানের গড়ে আরও এক পাঁকের হদিশ।

গ্রামে বোর্ডে জ্বল জ্বল করছে, বিকল নলকূপ সারানো হয়েছে। কিন্তু তাতে জল পড়ে কই? মানে যে লেখাটা রয়েছে, সেটা নামেই। সন্দেশখালির দুর্গামণ্ডপের খালপাড়ার মহিলাদের অভিযোগ, তৃষ্ণার জল আনতে তাঁদের পার করতে হয় নদী।

দুর্গামণ্ডপের খালপাড়া উত্তর ২৪ পরগনা আর রাধানগর দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। মাঝে নদী। কলসি নিয়ে সাঁতরে পাড় করতে হয়। শাড়ি পরে, মাথায় গোমটা টেনে, কোলে কলসি-এইভাবে সিক্ত বদনে যেতে হয় অন্য জেলাতেই। কেবল জল আনতে। সে ছবি ধরা পড়েছে TV9 বাংলার ক্যামেরায়।

গ্রামের একটা নলকূপের বয়স ২৪ বছর। গ্রামবাসীরা বলছেন, ২০০০ সাল নাগাদ এই নলকূপ হয়। কিন্তু কলের গোড়াতেই বসানো রয়েছে একটা ফলক। তাতে লেখা রয়েছে ২০১৭-১৮ সালে এই ফলক বসানো হয়েছে।

গ্রামের এক মহিলা বলেন, “আমাদের গ্রামে বরাবরই জলের সমস্যা। সাঁতরে জল আনতে যেতে হয়। এমনিতে হাঁটাপথে ৪-৫ কিলোমিটার দূর। সাঁতরে গেলে কিছুটা কাছে। ” আরেক মহিলা বলেন, “জোয়ারের সময়ে তো যাওয়া যায় না। বর্ষাকালেও যাওয়া যায় না। যেতে হয়, কেবল ভাঁটার সময়ে। তখন আবার পাকের কাঁদা। মেয়েছেলে তো আমরা। জামাকাপড় সব ভিজা।” আরেক মহিলা বলেন, “একা তো যাওয়া সম্ভব নয়, তাই গ্রামের অনেকে মিলে যাই। গ্রামের ছেলেরা-পুরুষমানুষরা থাকেন, এটা কতটা লজ্জার জানেন! ভাবতে পারেন?”

বিষয়টি জানেন গ্রামের সন্দেশখালির বিডিও অরুণ সামন্ত। তিনি বলেন, “পানীয় জলের সমস্যা, টিউবওয়েলের জন্য মাস পিটিশন আসছে। যেখানে যেখানে টিউবওয়েল লাগবে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অলরেডি লাইন তৈরির কাজও হয়ে গিয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে।” সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “সব গ্রামে নলকূপ বসানো হয়েছে। জল পৌঁছে যাবে। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।”  কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতদিনে?