বনগাঁ: কোনও তৃণমূলের সমর্থককে নাগরিকত্ব দেব না। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে। পাঁচপোতায় নির্বাচনী সভা থেকে শান্তুনু বলেন, “একটাও তৃণমূলের লোকেদের আমরা নাগরিকত্ব দেব না। একটা টিএমসিকেও নাগরিকত্ব দেব না। তারপর ওদের খ্যামটা নাচ কাকে বলে দেখাব। বড় বড় কথা না! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচাক ওদের।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, যাঁরা সিএএ-র বিরোধিতা করছে তাঁরা যদি নাগরিকত্ব নিতে আসে তাহলে একাত্তর সালের আইন অনুসারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন নাগরিকত্ব দিতে পারে। ভোটার কার্ডে যেন সেটা সম্পূর্ণ হয়। ওদের তো সিটিজেনশিপ দরকার নেই। বলে দিয়েছে। কেন তাহলে দিতে যাব?
শান্তনুর মন্তব্য কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূলও। তীব্র আক্রমণ শানিয়ে ব্রাত্য বসু বলছেন, “উনি কখন কী বলেন কিছুই ঠিক থাকে না। উনি নিজে বলেছিলেন সিএএ চালু হওয়ার পর উনি প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। সেই আবেদন উনি এখনও করেননি। তাবলে কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালকে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি উনি ভালই আয়ত্ত্ব করেছেন।”
দিলীপ ঘোষ বলছেন, “সরকার সকলের জন্য আছে। আমরা সবকা সাথ সবকা বিকাশের কাজ করি। আজ তাঁরা তৃণমূল করছেন কাল বিজেপি করবেন। সরকার সবার অধিকার সুরক্ষিত করবে।” শান্তনুর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে চর্চা শুরু হয়েছে মতুয়া মহলেও। এক মতুয়া ভক্ত বলছেন, শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যকে আমরা সমর্থন করি না। একজন মতুয়া হিসাবে তিনি যে কথা বলছেন তা ঠিক নয়। আমরা দাবি করছিলাম নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের ভাওতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা ধিক্কার জানাই।