বসিরহাট: লোকসভা ভোটের মাস কয়েক আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। গ্রামের মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ তুলেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন শেখ শাহজাহান। তবে বসিরহাটের ভোটবাক্সে সেই সন্দেশখালির তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। সেই ফল প্রকাশের পর আজ শেখ শাহজাহানকে দেখেই স্লোগান দিতে শুরু করলেন সন্দেশখালির মানুষ।
শুক্রবার শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পর এদিন তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। এদিন আদালত চত্বরে সকাল থেকেই ছিল সন্দেশখালি মানুষের ভিড়। শাহজাহান গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে দেখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুরু করে সন্দেশখালির মানুষ। তবে শেখ শাহজাহান কিছু বলেননি। তিনি সোজা ঢুকে যান আদালত কক্ষে।
সন্দেশখালিতে যে সব অভিযোগ উঠেছিল তার মূলেই ছিল শেখ শাহজাহানের নাম। তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহিলারা। দিনের পর দিন বেপাত্তা ছিলেন শাহজাহান। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-ও তাঁকে হেফাজতে নেয়। তারপর থেকে জেলেই আছেন সন্দেশখালি।
উল্লেখ্য, একসময় এই শেখ শাহজাহানের কথাতেই উঠত-বসত গোটা সন্দেশখালি। শাসক দলের তৃণমূলের অন্যতম সদস্য শুধু নয়, জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্যও ছিলেন তিনি। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়, পাশাপাশি তাঁর জেলা পরিষদের সদস্য পদও চলে যায়।