SIR আবহে আতঙ্কে বারাকপুরে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিশ
SIR: তদন্তে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট হয়নি,অসুস্থ বাবাকে বাংলাদেশে দেখতে যেতে পাচ্ছিলেন না কাকলি। যদিও শাশুড়ির দাবি, NRC নিয়ে চিন্তাও করতেন। বাংলাদেশে বাবা অসুস্থ। তাই দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী সবুজকে সেকথা জানাচ্ছিলেন। বিয়ের পর আর বাংলাদেশে যাওয়া হয়নি তাঁর।

উত্তর ২৪ পরগনা: SIR আবহে আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ। আগরপাড়া, ইলামবাজারের পর এবার বারাকপুরে এই ঘটনা। বারাকপুরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী এক গৃহবধূ। পরিবারের দাবি, বিবাহ সূত্রে ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এপারে এসেছিলেন কাকলি সর্দার। SIR নিয়ে তাঁর আতঙ্ক ছিল। শ্বশুর শাশুড়িকে আটক করে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে টিটাগড় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধূর মাম কাকলি সরকার।
তদন্তে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট হয়নি,অসুস্থ বাবাকে বাংলাদেশে দেখতে যেতে পাচ্ছিলেন না কাকলি। যদিও শাশুড়ির দাবি, NRC নিয়ে চিন্তাও করতেন। বাংলাদেশে বাবা অসুস্থ। তাই দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী সবুজকে সেকথা জানাচ্ছিলেন। বিয়ের পর আর বাংলাদেশে যাওয়া হয়নি তাঁর। এর মধ্যে ভাইয়েরও বিয়ে হয়েছে, তাও যেতে পারেননি বাপের বাড়ি। এই নিয়েই স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হতো মাঝেমধ্যে। এই স্বীকারোক্তি খোদ আত্মঘাতী কাকলি সরকারে শাশুড়ি শিবানি সরকারের।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাকলির শাশুড়ি সঙ্গে এও দাবি করেছেন, NRC নিয়েও চিন্তা করতেন তাঁর বৌমা। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ ছাদের দরজা আটকে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন কাকলি। টিটাগড় থানার পুলিশ স্বামী, শ্বশুর, ভাসুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
উল্লেখ্য, আগরপাড়াতেই NRC আতঙ্কে প্রদীপ করের আত্মহত্যার অভিযোগ তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা। আগরপাড়ার মৃত প্রদীপের বাড়িতে শুক্রবার যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সুইসাইড নোটি কি আদৌ প্রদীপ করেরই লেখা? তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রদীপের করের সমস্ত জিনিস খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘরে আদৌ কোনও খাতা-ডায়েরি রয়েছে কিনা, কোনও পেন ব্যবহার করতেন প্রদীপ, তাঁর হাতে লেখা আর কোনও কাগজ আদৌ সেই ঘরে রয়েছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।
