বিধাননগর : ৭ মার্চ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়েই ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভবনের নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে উঠল ঘোর অভিযোগ। মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকদের হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রছাত্রীদের অ্যাডমিট কার্ড ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ শোনা গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের পাশাপাশি বিধাননগর পুলিশের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছে মাধ্য়মিকের ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে যে তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছিঁড়ে দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী এবং পুলিশের মধ্যে এই বচসায় উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেকের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সদর দফতরের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়।
মাধ্যমিক পরীক্ষার আর কিছুদিন বাকি। কিন্তু এখনও অ্যাডমিট কার্ড পায়নি বহু পরীক্ষার্থী। অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ায় এই বছর তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা একটা বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। কারণ মাধ্যমিক পরীক্ষার আর মাত্র কয়েকদিনই বাকি। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সদর দফতরে জড়ো হয় ১০০ জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রী। তারা স্কুলে অ্যাডমিট কার্ড নিতে গেলে তাদের স্কুল থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে পাঠানো হয় অ্যাডমিট কার্ডের জন্য। তাই তারা মধ্যশিক্ষা পর্ষদে এসে অ্যাডমিট কার্ডের খোঁজ করেন। ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন স্কুল থেকে এসেছে। তবে দাবি তাদের একটাই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। তাই তারা এখানে এসে প্রহারের শিকার হতে হবে তা হয়ত আন্দাজ করেনি পড়ুয়ারা। তারা জানিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদে পৌঁছনোর পর নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে একসঙ্গে ভিতের যেতে বাধা দেওয়া। তারপরই তারা ভিতরে ঢুকতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার জন্য দফতরের নিরাপত্তারক্ষীরা শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করে বলে অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি তাদের রেজিস্ট্রেশন সংশাপত্রও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে তারা।
শিক্ষার্থীদের একজন অভিযোগ করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন পুলিশ তাদের সমর্থন করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হস্তক্ষেপের আর্জি জানালে তাকে আটক করে রাখা হয়। এক ছাত্রী বলেছে, “আমার দাদা অসুস্থ থাকায় আমি স্কুলে যেতে পারিনি। তাই পরীক্ষার ফর্ম ফিল আপ করতে পারিনি। স্কুলে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড চাওয়াতে শিক্ষিকা বলেছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদে এসে কথা বলার জন্য। শিক্ষিকারাও এখানে এসছিলেন। তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” সেই ছাত্রী আরও বলেছে, “আজকে আমরা এসে কথা বলতে চাওয়ায় তাঁরা আমাদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলছেন না। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। সব ছাত্র-ছাত্রীদের মারছে।” ছাত্রীদের একটাই দাবি তাদের এখন ফর্ম ফিল আপ করতে দেওয়া হোক। তারা জানিয়েছে যে, এইবছর পরীক্ষা দিতে না পারলে একটা বছর নষ্ট হবে তাদের।