‘এখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চলবে না’, মৃতের পরিবারকে জানাল পুর-হাসপাতাল

পুর প্রশাসকের দাবি, এখনও এই হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আসেনি। তাই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

'এখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চলবে না', মৃতের পরিবারকে জানাল পুর-হাসপাতাল
পুর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার।
Follow Us:
| Updated on: Jan 19, 2021 | 1:31 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: পুর-হাসপাতালে গৃহীত হল না স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। উল্টে বিল না মেটানো অবধি মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। দমদম পুর হাসপাতালের (Dumdum Municipal Hospital) এই ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। যদিও স্থানীয় পুর প্রশাসকের দাবি, এখনও এই হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আসেনি। তাই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ সরণির বাসিন্দা চম্পা দে (৪৯)। গত ২৭ ডিসেম্বর হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও তার পরিষেবা পাননি ওই মহিলা। হাসপাতালের বিল মেটাতে গিয়ে পরিবারকে জমি বন্ধক পর্যন্ত দিতে হয় বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে সোমবার রাত ৯টা ৪৫ নাগাদ দমদম পুর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, বিলের বকেয়া টাকা না দিলে মৃতদেহ ছাড়া হবে না। এরপর মঙ্গলবার সকালে চম্পাদেবীর জামাই নিজের মোটরবাইক বিক্রি করে টাকা এনে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ছাড়িয়ে নিয়ে যান। মৃতের পরিবারের বক্তব্য, একটি অ্যাপ নির্ভর পরিবহণ পরিষেবা সংস্থায় কাজ করেন চম্পাদেবীর জামাই। লকডাউনে কষ্টে সংসার চালান। হাসপাতালের অমানবিক মুখের জন্য সেই মোটর বাইকও বিক্রি করতে হল। তাঁদের প্রশ্ন, সরকার দুয়ারে ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিচ্ছে। সকলকে বলছে, হাসপাতালে গেলেই পরিষেবা। অথচ হাসপাতাল অন্য কথা বলছে।

আরও পড়ুন: কয়লা পাচারকাণ্ডে ইসিএলের পর এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রেল

স্থানীয় পুর প্রশাসক হরিন্দর সিংয়ের বক্তব্য, তাঁদের এই হাসপাতালকে এখনও স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়নি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর থেকে সকলেই সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা পাবেন।