কয়লা পাচারকাণ্ডে ইসিএলের পর এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রেল

সিবিআই জানতে পেরেছে, কয়লা বোঝাই ওয়াগন ও ডাম্প ইয়ার্ড থেকে কয়লা চুরি হতো। ওয়াগানে ওভারলোড করে, ওয়াগনের উচ্চতা থেকে উঁচু করে কয়লা আনা হত।

কয়লা পাচারকাণ্ডে ইসিএলের পর এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রেল
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 19, 2021 | 11:56 AM

কলকাতা: কয়লা (Coal Scam) ও গরু পাচারকাণ্ডের  (Cattle Smuggling Case) তদন্তে রোজই নতুন করে গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই (CBI)। গরু পাচারকাণ্ডে মঙ্গলবার হাজিরা দিলেন বিএসএফ-এর ডেপুটি কমানড্যান্ট মহেন্দ্র সিং রাওয়াত। অন্যদিকে কয়লা পাচারকাণ্ডে ইসিএলের পর এবার রেলের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আসানসোল ডিভিশনের কোন কোন অফিসার পণ্য সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজ খবর শুরু করেছেন।

সোমবারই গরু পাচারকাণ্ডে কমানড্যান্ট আমরিক সিংকে জেরা করে সিবিআই। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়। গরু পাচারকাণ্ডে তদন্তে নেমে বিএসএফের কাছে গত পাঁচ বছরের তালিকা চেয়েছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় নাম ছিল আমরিকের। ২০১৫-২০১৭ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর মঙ্গলবার ডেপুটি কমানড্যান্ট মহেন্দ্র সিং রাওয়াতকেও তলব করা হয়। সকালে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তিনি।

অন্যদিকে কয়লা পাচারকাণ্ডে রেলের দিকে এবার নজর সিবিআইয়ের। সূত্রের খবর, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আসানসোল ডিভিশনে পণ্য সরবরাহের দায়িত্বে যে সমস্ত আধিকারিক ছিলেন, এবার তাঁদের কয়েকজনকে নোটিস পাঠাবেন তদন্তকারীরা। তার আগে সেইসব নামের তালিকা তৈরি করা হবে।

মূলত তাঁদের কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে তদন্তকারী সংস্থা। যেমন, রেলের ওয়াগন থেকে কয়লা চুরির বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষ জানত কি না? জানলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? আদৌ কোনও ব্যবস্থা হয়েছিল কি না? কেন বন্ধ হয়নি কয়লা চুরি?

প্রসঙ্গত, এফআইআর-এ ইতিমধ্যেই রেলের নাম উঠে এসেছে। সিবিআই জানতে পেরেছে, কয়লা বোঝাই ওয়াগন ও ডাম্প ইয়ার্ড থেকে কয়লা চুরি হতো। ওয়াগানে ওভারলোড করে, ওয়াগনের উচ্চতা থেকে উঁচু করে কয়লা আনা হত। তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় লাইনের ধারে পাতা থাকতো বস্তা। ওই জায়গায় মালগাড়ি আসার পর ওয়াগনের উপরে উঠে বেলচা দিয়ে অতিরিক্ত কয়লা ওই বস্তায় ফেলত ‘লালা অ্যান্ড কোম্পানি’। তারপর চুরি হওয়া সেই কয়লা লরিতে করে পাচার করা হত। গোটা বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের নজরে থাকলেও তারা দেখেও দেখেনি বলে অভিযোগ। রেলের কাছ থেকে এ বিষয়েই তথ্য জানতে চাইছে সিবিআই।