Bongaon Bike Accident: ঝড়ের গতিতে ধেয়ে আসছিল বাইক, সোজা ধাক্কা বিদ্যুতের পোলে, ছিটকে পড়ে থেঁতলে গেলেন ৩ জনেই
Bongaon Bike Accident: বাইক ছুটিয়েছিলেন ঝড়ের গতিতে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। সোজা গিয়ে ধাক্কা মেরেছিলেন বিদ্যুতের খুঁটিতে। মর্মান্তিক পরিণতি। বাইক থেকে ছিটকে পরে মাথা থেঁতলে যায় এক জনের।
বনগাঁ: ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। সন্ধ্যার পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি নামার আগেই বাড়ি ফেরার তাড়া ছিল ওঁদের। বাইক ছুটিয়েছিলেন ঝড়ের গতিতে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। সোজা গিয়ে ধাক্কা মেরেছিলেন বিদ্যুতের খুঁটিতে। মর্মান্তিক পরিণতি। বাইক থেকে ছিটকে পরে মাথা থেঁতলে যায় এক জনের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাকি দু’জনকে উদ্ধার করে যতক্ষণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, মৃত্যু হয় তাঁদেরও। জামাইষষ্ঠীর রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর কলমবাগান বেয়ারা রোডের কুন্দিপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রুপসা বিশ্বাস(১৬, তাঁর বাড়ি বাগদা থানার বলিদাপুকুরে। সঞ্জিত দাস(২৩), বাড়ি বাগদা থানার দুর্গপুর ও রাজেশ মণ্ডল(২২), বাড়ি বনগাঁ থানার কুন্দিপুর এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ওই তিন জন যুবক যুবতী বেয়াড়া থেকে কলমবাগান রোড ধরে দ্রত গতিতে কলমবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের কারোর মাথাতেই হেলমেট ছিল না। বাইক ছুটছিল দুরন্ত গতিতে। উল্টোদিক থেকে আসা একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে চেয়েছিলেন বাইক চালক। পাশ কাটিয়েও দেন। তারপর সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারেন রাস্তার পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে। বিকট জোরে শব্দ হয়।
বাইক থেকে ছিটকে অনেকটা দূরে পড়ে যান তিন জনই। এক জনের মাথা গিয়ে পড়ে পাথরের ওপর। মাথা থেঁতলে যায় তাঁর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ততক্ষণে রাস্তার ধারে জমা হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই বাকি দু’জনকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা বাকি দু’জনকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। তারপর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
হেলমেট পরে নিয়ন্ত্রণে গতি রেখে বাইক চালানোর জন্য বারবার সতর্ক করছে প্রশাসনও। কিন্তু বেপরোয়া গতি যে এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই তিন মৃত্যু।