উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত চলছে। তারই মধ্যে ফের টিটাগড়ে বোমাবাজি। টিটাগড় থানার ৩০ ফুট দূরত্বের মধ্যে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বিজেপি কর্মী সুরজ সাউয়ের বাড়িতে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এমনকি গোটা বিষয়টি ঘটে পুলিশেরই সামনে। সূত্রের খবর, পুলিশ নাকি দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করে।
অস্ত্র উঁচিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশকে গুলি করে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। দুস্কতীরা পর পর দুটি বোমা ছোড়ে। অন্যদিকে, এলাকারই বাসিন্দা সুরজ শেঠের বাড়িতে দুটি বোমা ছোড়া তারা। বোমার অভিঘাতে সুরেশের বাড়ির কাচের দরজা জানলা ভেঙে যায়। আসবাবপত্রও ভেঙে যায়।
ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সিসিটিভিতে দেখা যায়, দুটি বাইকে আসে চার জন। তারাই এলাকায় বোমাবাজি করে। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি হয়। বাইক থেকে নেমে এলাকায় দুটি বোমা ছোড়ে। তারপর ফের বাইকেই চেপে চম্পট দেয়। যাওয়ার সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। বিবেকনগরে সুরেশ শেঠের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় খড়দহ থানার পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করে। টিটাগড় থানার সামনে বোমা মারার ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই তদন্তে নেমে বোমার মুখে পড়তে হয় জগদ্দল থানার পুলিশ কর্মীকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে জগদ্দলের ফুলুরি মোড়ে ফের বোমাবাজি হয়। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন সকালে জগদ্দলের ফুলুড়ি মোড়ে রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিলেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। যেহেতু মাঝেমধ্যেই এলাকায় উত্তেজনার ঘটনা ঘটে, বোমাবাজি হয়, সেই কারণেই এই তল্লাশি চলছিল।
অভিযোগ, তল্লাশির সময়েই দূর থেকে দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বোমায় আহত হন তিন জন পুলিশ কর্মী। এই ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই ঘটনায় সুদর্শন রজক, নিতেশ সাউ, রাজা সাউ নামে তিন জনকে আটক করা হয়। শান্ত পোদ্দার, দিপু বর্মন, পীযুস কান্তি মাঝি নামে তিন পুলিশ কর্মী আহত হন।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জগদ্দলে বিজেপি কর্মীর মায়ের খুনের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ২ মে ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হন শ্যামনগরের রাউতা বিআরএক কলোনির বাসিন্দা শোভারানি মণ্ডল। তাঁর ছেলে বিজেপি কর্মী ছিল। ভোট পরবর্তী পর্যায়ে তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মা শোভারানি। বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত করে পুলিশ। জগদ্দল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, , বৃহস্পতিবার বারাকপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন রতন হালদার। গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় আনাগোনা শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্তকারীদের। তারই মধ্যে ঘটল এই ঘটনা। আরও পড়ুন: গলার নলি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে মাংসপিণ্ড! ফ্ল্যাটে প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলের শিউরে ওঠার মতো কীর্তি