
উত্তর ২৪ পরগনা: জগদ্দলে রঙ খেলা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা। লাগাতার সংঘর্ষ বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। ঘটনায় আহত হয়েছে চার জন। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত হয় রঙ খেলা নিয়ে। জগদ্দল থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা মোড় সংলগ্ন মজদুর ভবনের সামনে চলে দুই দলের মধ্যে দফায়-দফায় উত্তেজনা। অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনেই দু’পক্ষের মধ্যে চলে মারামারি। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের পুত্র নমিত সিং দলবল নিয়ে হোলিতে মত্ত যুবকদের ওপর হামলা চালায়। তাঁদের উদ্দেশে ছোড়া হয় টালি। যার জেরে গুরুতর জখম হয় বিট্টু যাদব নামের এক ব্যক্তি। শুধু বিট্টু নন, আহত হন আরও চারজন। ঘটনাস্থলে জগদ্দল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়। পুলিশ গণ্ডগোলে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, রঙ খেলায় ঝামেলা হতে পারে সেই কারণে আগে থেকেই ওই এলাকায় মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। তা সত্ত্বেও ঝামেলা সামল দেওয়া যায়নি। পুলিশের সামনেই চলে মারামারি। এই ঘটনায়, পার্থ ভৌমিক নামে তৃণমূল নেতা জানান, “দোলের দিন ছোটখাটো এমন ঘটনা ঘটে। পুলিশ ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।পাশাপাশি আরও অভিযু্ক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আমরা বরাবরই প্রশাসনের সঙ্গে যোগযোগ রেখে যাতে দোলের দিন অশান্তি না হয় তার চেষ্টা করি। আর যিনি ব্যারাকপুরের সাংসদ তিনি রাস্তায় নেম যাতে ঝামেলা হয় তার চেষ্টা করছেন। এখানকার মানুষের দুর্ভাগ্য যে এমন একজন সমাজ বিরোধী এই এলাকার সাংসদ”
অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “একজন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর মহিলা বলেছেন আমি দেখেছি ওরা মেরেছে।পুলিশ যে অপরাধী রয়েছে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আর যারা অপরাধী নয় পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে।এই অত্যাচার কতদিন চলবে সেইটাই দেখার।”
এদিকে, রঙ খেলা নিয়ে এদিন উত্তপ্ত হয় খড়দাও। রীতিমত বোমাবাজি চলে। ঘটনাস্থলে সেখানেও পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দারা হোলি খেলছিলেন। তখনই বাইকে দুই দুষ্কৃতী পরপর দু’টি বোমা মেরে চলে যায়। বোমায় আহত হন এক ব্যক্তি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাগরদত্ত হাসপাতালে।